শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ১২ মে, ২০১৯, ০৩:২০ রাত
আপডেট : ১২ মে, ২০১৯, ০৩:২০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আষাঢ়ের কদম ফুটছে বৈশাখে

সাজিয়া আক্তার : কদম ফুল সাধারণত আষাঢ় শ্রাবণ মাসে ফোঁটে বলেই একে বর্ষা ঋতুর ফুল বলা হয়। তবে গত কয়েক বছর ধরে বৈশাখ মাসের শেষের দিকে ফুটতে শুরু করে এবং আষাঢ় মাস জুড়ে ফুঁটতে থাকে কদম ফুল। বাংলা নিউজ

উদ্ভিদ বিজ্ঞানী'রা বলছেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জীববৈচিত্র্য পরিবর্তন হচ্ছে একারণে এখন নির্দিষ্ট ঋতুর আগেই আগেই ফুঁটছে কদম ফুল। বৃষ্টির পানি এর শিকড়ে পৌঁছালেই গাছের শাখা প্রশাখায় ফুঁটতে শুরু করে। যেহেতু নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বৃষ্টি হচ্ছে তাই কদম ফুলও আগেই ফুটছে।

কদম ফুলের সৌন্দর্য ও গন্ধ সকলকেই আকর্ষণ করে। গ্রামের পথের ধারে বাগানে প্রাকৃতিক ভাবেই জন্মে কদম গাছ। গাছ গুলো উচ্চতায় ২০থেকে ৫০ ফুট পর্যন্ত হয়। এর ইংরেজি নাম Cadamba বৈজ্ঞানিক নাম Anthocephalus Indicus. হলুদ সাদা রঙ্গের ছোট বলের মত গুচ্ছাকৃতির ফুল হয়। হলুদ বলে ছোট লম্বা দণ্ডের মতো পাপড়িগুলো আটকে থাকে। পাপড়ির মাথায় থাকে সাদা রঙের পরাগদণ্ড। এর ফল টক স্বাদ যুক্ত। কাঠবিড়ালি এবং বাদুরের এসব ফল প্রিয় খাবার।

ফুলের মিষ্টি গন্ধ আছে। ফুল ফুটলে গন্ধ চারপাশে ছড়িয়ে যায়। কদম ফুলের আরো বিভিন্ন নাম রয়েছে যেমন- ললনাপ্রিয়, সুরভী, মেঘাম প্রিয়, মঞ্জু কেশনী, কর্ণপূরক, পুলকি ইত্যাদি। কদম গাছ লম্বা উচ্চতা বিশিষ্ট পাতা সবুজ রঙ্গের সরু লম্বাকৃতি। শীতকালে পাতা ঝড়ে যায় বসন্তকালে গাছে নতুন পাতা জন্মে। এর কাঠ ততটা শক্ত নয়। দেয়াশলাই এর কাঠিসহ বিভিন্ন হালকা ওজনের বাক্স তৈরিতে ব্যবহার করা এর কাঠ। গ্রামাঞ্চলে জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করে।

কদমে রয়েছে নানা ভেষজ গুণ। ৪ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের কৃমি হলে কচি কদম পাতার রস বেঁটে খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায়।

মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে কদম ফুল কেটে পানিতে সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে কুলকুচি করতে হয় এতে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। কচি কদম গাছের ছাল বেটে হালকা গরম করে প্রলেপ দিলে ফোলা ও ব্যথা স্থানে লাগালে আরাম হয়। খুব জ্বরে মানুষের পিপাসাও বেশি হয়, এসময় কদম ফলের রস করে খেলে পিপাসা কমে যায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়