শিরোনাম
◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের

প্রকাশিত : ১২ মে, ২০১৯, ০১:২৬ রাত
আপডেট : ১২ মে, ২০১৯, ০১:২৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না জানতে ভূমি মন্ত্রনালয়ের সচিব ও গাইবান্ধার

রফিকুল ইসলাম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি : ১১ মে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের ১১০টি খাস পুকুর লিজ প্রদানের দরপত্র প্রক্রিয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়ে ভূমি মন্ত্রনালয়ের সচিব, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক ও গোবিন্দগঞ্জের ইউএনওসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের রুল জারি করেছেন। এছাড়া এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না ? আগামি চার সপ্তাহের মধ্যে এই সব বিষয়ের জবাব দিতে বিবাদীদের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বাকী বিবাদীরা হলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা, গাইবান্ধা জেলা ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এবং মৎসজীবী সমিতির আট সভাপতি।

গোপন প্রক্রিয়ায় তড়িঘড়ি পুণ:দরপত্রে নীতিমালা উপেক্ষা করে অনিয়ম ও কমিশন বাণিজ্যের মাধ্যমে সরকারি এই ১১০টি পুকুর প্রভাবশালী মহল ও অ মৎসজীবী সমিতিকে ইজারা দেয়া হয়। এই অভিযোগ এনে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ১৬টি মৎসজীবী সমিতির পক্ষে সাপমারা মৎসজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুল লতিফ মন্ডল গত ২১ এপ্রিল হাইকোর্টে রিট আবেদন (নং ৪৪৯৯/১৯) দাখিল করেন।
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও রাজিক আল জলিল এর দ্বৈত বেঞ্চ গত ৩০ এপ্রিল শুনানিতে বিবাদীদের বিরুদ্ধে রুল জারির এই আদেশ দেন। পরে গত ৮ মে বিচারপতিদের স্বাক্ষরিত আদেশের এই কপি গাইবান্ধা পৌঁছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রামকৃষ্ণ বর্মণ বলেন, ‘নীতিমালা মেনেই দরপত্র আহবান করা হয়। বন্দোবস্ত কমিটির সিন্ধান্ত ও সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই এইসব পুকুর লিজ দেওয়া হয়। অনিয়মের অভিযোগ ভিত্তিহীন।

মৎসজীবীদের অভিযোগের (রিট আবেদন) প্রেক্ষিতে আদালতের দেওয়া নির্দেশ মেনেই যথসময়েই রিটের জবাব দাখিল করা হবে।’

রিট আবেদনকারী আব্দুল লতিফ মন্ডল বলেন, গেজেটে একটি সমিতি দু’টির বেশি পুকুর লিজ পাবে না উল্লেখ থাকলেও তা লঙ্ঘন করে একটি সমিতিকে ১০ থেকে ১১টি করে পুকুর লিজ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যেসব সমিতিকে পুকুরগুলো লিজ দেয়া হয় সেই সমিতিগুলোর সভাপতি/সম্পাদক মৎসজীবী নয়।

প্রসঙ্গত উলে­খ্য যে, গোবিন্দগঞ্জের ১২১টি পুকুর ইজারা দেয়ার জন্য দরপত্র আহবান করে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম বিজ্ঞপ্তি দেয় উপজেলা প্রশাসন। ৬ মার্চ সেই দরপত্র দাখিল করাকে কেন্দ্র করে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়ায় ক্ষমতাসীন আ’লীগের দলের দুইটি পক্ষ।

অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ পরিস্থিতিতে দরপত্র স্থগিত করে পরবর্তীতে গত ২৪ মার্চ পুনঃদরপত্র আহবান করে। সেই দরপত্রে ৩ এপ্রিল ১১০টি পুকুর লিজ দেয়া হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়