ওয়ালি উল্লাহ্ সিরাজ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার চায় প্রতিটি মানুষ ন্যায়বিচার পাক। এজন্য আইনি সহায়তা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিতে চায় সরকার। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের কথা স্মরণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেছেন, বিচার না পেয়ে আর কাউকে যেন তার মতো কাঁদতে না হয়।
সরকারপ্রধান বলেন, মামলার দীর্ঘসূত্রতা কমাতে হবে। কারাবন্দি অনেকেই জানে না, তাদের অপরাধ কী। সরকারের আইনগত সহায়তা কী করে পাবে, সেটাও তারা জানে না। এ বিষয়টা দেখার জন্য তিনি এরই মধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছেন। গতকাল রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসের অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। বাসস, ইউএনবি|
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসিডদগ্ধ, বিধবা ও তালাকপ্রাপ্ত নারী, প্রতিবন্ধী, পাচারের শিকার নারী বা শিশু, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানা আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার পেতে অক্ষম নাগরিকদের সম্পূর্ণ সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, 'সরকারি আইন সহায়তা কার্যক্রম বৈষম্য দূর করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তৃণমূল পর্যায়ে এ কাজের বিস্তার ঘটিয়ে আমরা একে স্থায়ী প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চাই, যেন আমাদের দেশের সবাই ন্যায়বিচার পায়।'
মামলা দীর্ঘসূত্রতা ও জট কমাতে অধস্তন আদালতে বিচারক নিয়োগ, নতুন নতুন আদালত, ট্রাইব্যুনাল স্থাপনসহ প্রয়োজনীয় পদ সৃষ্টি ও নিয়োগ, উচ্চতর প্রশিক্ষণসহ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিতে সরকারের উদ্যোগ এবং ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্পের কথাও বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এএসএসএম জহুরুল হক, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদানকারী সংস্থার পরিচালক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।