কেএম নাহিদ : ঢাকার গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানা যেখানে প্রায় দুই হাজারের মতো শ্রমিক আছে। কাজের পরিবেশ নিরাপদ করার জন্য প্রায় সাত কোটি টাকা খরচ করতে হয়েছে। রানা প্লাজা ধসের পর বিদেশী ক্রেতাদের চাপে পড়ে এ কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন বলে বুধবার বিবিসি বাংলা সঙ্গে সাক্ষাতকারে কারখানার মালিক জানান।
যারা কারখানা নিরাপদ করার জন্য টাকা ব্যয় করেছেন, তারা সেটি পুষি নিতে উৎপাদন বাড়ানোর জন্যও বিনিয়োগ করেছেন। ফলে পোশাক রপ্তানির অর্ডার পাবার জন্য কারখানা গুলোর মধ্যেও চলছে তীব্র প্রতিযোগিতা। কিন্তু পোশাকের দাম বাড়ানোর কথা চিন্তাই করছেন না বিদেশী ক্রেতারা।
গার্মেন্টস কারখানার মালিক আরশাদ জামাল বলেন, বাংলাদেশে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানীতে আয় বেড়েছে। রানা প্লাজার ধসের পর বিদেশী ক্রেতাদের চাপে পড়ে। যারা কারখানা নিরাপদ করার জন্য টাকা ব্যয় করেছেন। তারা সেটি পুষিয়ে নেবার জন্য উৎপাদন বাড়াানোর জন্যও বিনিয়োগ করেছে। জামাল বলেন, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি কারখানাগুলোর অনেকেই 'কমপ্লায়েন্স রাডারের' বাইরে। প্রায় দুই-আড়াই হাজার ফ্যাক্টরি রয়েছে তারাও করছে।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, এই প্রতিযোগিতার বাজারে বাংলাদেশেই যদি আরেকটি প্রতিষ্ঠান কম অফার করে, তাহলে বায়াররা (ক্রেতারা) কেন স্বপ্রণোদিত হয়ে দাম বাড়াতে যাবে? । পোশাকের দাম আসলে বেড়েছে নাকি বাড়েনি সেটি নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যায়না। ফলে পোশাক রপ্তানির অর্ডার পাবার জন্য কারখানা গুলোর মধ্যেও চলছে তীব্র প্রতিযোগিতা।