শিরোনাম
◈ বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তার হবু বউকে ধর্ষণ ছাত্রদল নেতার! ◈ গণমামলা আর গণআসামির নেপথ্যে চাঁদাবাজি? ◈ সংস্কৃতি উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করার জেরে তিন সাংবাদিকের চাকরিচ্যুতি - যা জানা যাচ্ছে ◈ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বজ্রসহ শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস ◈ গ্যাস সঙ্কটে ১৬২০ কোটি টাকার এলএনজি আমদানি করছে সরকার ◈ সাংবাদিকতার দায়িত্ব ও নৈতিকতা-বিষয়ক আইন হওয়া প্রয়োজন : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা ◈ প্রত্যক্ষ কর আদায় বাড়াতে হবে: এনবিআর  ◈ জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ মানবিক করিডরের সিদ্ধান্ত সরকারের, আমরা প্রতিহত করবো: নুরুল হক (ভিডিও) ◈ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জরুরি নির্দেশনা শিক্ষার্থীদের শ্রেণিমুখী করতে

প্রকাশিত : ২২ মার্চ, ২০১৯, ০৯:৪০ সকাল
আপডেট : ২২ মার্চ, ২০১৯, ০৯:৪০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মানহানি মামলা উচ্চ আদালতে গড়ায় না, পাতিনেতারা কেনো লড়াইয়ে মত্ত, প্রশ্ন বলেন, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া

কেএম নাহিদ : ২) সুপ্রিমর কোর্টে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, "বিশ্বব্যাপী যে অ্যাপ্রোচ সেটা হচ্ছে মানহানি একটি সিভিল ক্লেইম। মানহানির ক্ষেত্রে কোনো ক্রিমিনাল কেস হওয়াই উচিৎ না। ক্রিমিনাল ল এর আওতায় আনতে পারে না। ধীরে ধীরে এই অ্যাপ্রোচটাই কিন্তু বিশ্বব্যাপি জোরালো হচ্ছে"। যে মামলাগুলো করা হচ্ছে সবকটাই করা হচ্ছে কেবলমাত্র হয়রানির উদ্দেশ্যে। জাস্ট সোশ্যাল হ্যারাসমেন্টের টুল হিসেবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখবেন হয়রানি করাটাই মূল উদ্দেশ্য। বিবিসি বাংলা।

৩) গত প্রায় দুই দশকের অভিজ্ঞতা থেকে বড়ুয়া বলেন, মানহানি বা ক্ষতিপূরণের মামলা বিচার শেষে উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে এমন নজির নেই বললেই চলে। ফৌজদারি কার্যবিধি ১৯৮ ধারা উল্লেখ করে এ আইনজীবী জানান, মানহানি মামলায় সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি এবং বিশেষ ক্ষেত্রে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ছাড়া মামলা করার সুযোগ নেই। এছাড়া সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদে একটি অপরাধে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও দণ্ড অসমর্থিত করে না। কিন্তু বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে একজনের মানহানিতে মামলা ঠুকে দিচ্ছেন অন্যরা।

৪) তিনি বলেন বলছেন, "ক্রিমিনাল কেস হচ্ছে ব্যক্তির বিরুদ্ধে। যিনি সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি তাকেই আসলে গিয়ে অভিযোগটা করতে হয়। সরকারের কোনো কর্তাব্যক্তি বা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কেউ হয়তো একটা কমেন্ট করে বসলো, দেখা যাচ্ছে কি তার পক্ষ থেকে পার্টির কোনো জেলা বা উপজেলা পর্যায়ের কোনো নেতা বা কর্মী মামলা করে দিলেন।

৫) তিনি আরো বলেন, আদালতের আসলে এ মামলাগুলো নেয়াই উচিৎ না। এই যে প্র্যাকটিসটা চলছে এটাও খুবই একটা ভয়াবহ প্রাকটিস। অনেকগুলো মামলা হওয়া, একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গায় পাবলিসিটির জন্য,দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য অসংখ্য মামলা হওয়া কমপ্লিটলি ইল্লিগ্যাল।

বাংলাদেশে দণ্ড বিধি ছাড়াও বর্তমানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মানহানি মামলা হচ্ছে যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। একই রকম বিতর্ক এবং বিরোধিতা ছিল তথ্য প্রযুক্তি আইনের বিলুপ্ত ৫৭ ধারায় মামলা নিয়েও।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়