হ্যাপি আক্তার : পটুয়াখালী জেলায় অবস্থিত অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি সাগর কন্যা কুয়াকাট। সাগরে জোয়ারের ঢেউয়ে ভেসে সৈকতে আবারও আটকা পড়ছে শত শত মৃত জেলি ফিশ। চ্যানেল আই।
দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকতের একাধিক পয়েন্টে গত কয়েক দিন ধরে আটকা পড়ছে জেলি ফিশ। যা দেখতে ভিড় করছেন উৎসুক পর্যটক, স্থানীয় লোকজন ও জেলেরা। স্থানীয় জেলেদের কাছে জেলি ফিশ সাগরের লোনা হিসেবে পরিচিত। তারা বলেন, জালে জেলি ফিশ ধরা পড়লে সেই জাল আর ব্যবহার করা যায় না।
গভীর সাগরে জেলেদের জালে এসব জেলি ফিশ আটকা পড়ে মারা যেতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের। অনেকে বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সাগরের এ মাছ উপকূলে এসে মরে যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জেলি ফিশ দলবদ্ধভাবে চলাফেরার কারণে সাগরে মৎস্য শিকারীদের জালে ধরা পড়ে। এগুলোর শরীরের ৯০ ভাগই পানি। এরা জালে একবার আটকে গেলে তা ছাড়ানো সম্ভব হয় না।
কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনোজ কুমার সাহা বলেছেন, গভীর সমুদ্রে উত্তাল হয়ে গেছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সৈকতের দিকে চলে আসছে জেলি ফিশ। তবে এ বিষয়ে কোনো গবেষণা না থাকায় বিষয়টি সম্পর্কে তেমন জানি না।
কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আবদুল বারেক মোল্লা বলেছেন, মৃত জেলি ফিশের কারণে পর্যটকদের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সেজন্য এগুলো সরিয়ে মাটিতে পুঁতে ফেলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
পর্যটক ও স্থানীয়রা যাতে এসব মৃত জেলি ফিশ স্পর্শ না করে সেজন্য টুরিস্ট পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করছেন কুয়াকাটা পর্যটন শিল্পে সংশ্লিষ্টরা।
এর আগেও ২০১০ ও ২০১৪ সালে জানুয়ারি থেকে মার্চে এ সৈকতে এমন হয়েছিলো। তবে তা সংখ্যায় এত বেশি ছিল না। সম্পাদনা : জামাল