হ্যাপি আক্তার : ২০০৬ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর থেকেই আন্দোলনের মাঠে বিএনপি। তবে সে আন্দোললে মুখ্য বিষয় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মুক্তির। বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতারা বলছেন, আন্দোলনের বদলে গণমুখি বা গণমানুষের কর্মস‚চিকে প্রাধান্য দিয়ে রাজপথে নামা উচিত।তাদের মতে, জনগণের কথা বলা ছাড়া কোনো আন্দোলনই সাধারণ মানুষের সমর্থন পাবে না। তাই আন্দোলন নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তার পরামর্শ সকলের। ডিবিসি নিউজ।
বিএনপির সিংহভাগ আন্দোল ছিলো দলীয় দাবি দাওয়া আদায়ের জন্য। শুরুতে লন্ডনে পলাতক তারেক রহমান ও পরে দুর্নীতি মামলার খালেদা জিয়ার কারাদÐের পর এই দুই নেতার মামলা নিয়েই বিএনপিকে সরব হতে দেখা যায়। অনেক গুরুত্বপ‚র্ণ বিষয় আসলেও সে সবকে এক রকম পাশ কাটাতেই দেখা যায় বিএনপিকে। বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান মেজর (অব) হাফিজউদ্দন আহমেদ বলেন, রাজপথে সংগ্রামে নামতে হবে। এ সংগ্রাম কেবল দলের নেতাকর্মীদের মুক্তির সংগ্রাম নয়, এ সংগ্রাম হতে হবে দেশের গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম। জণগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সংগ্রাম। কিন্তু বিএনপির সকল কর্মসূচি হলো নেতা-কর্মীদের মুক্ত দিতে হবে।
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, আত্মসমালোচনার সময় এসেছে। দেখতে হবে কে বড়, কতটুকু বড়। কে প্রিয়, কতটুকু জনপ্রিয়। জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, নেতানেত্রীর মুক্তির আন্দোলনকে মুখ্য করে আন্দোলন না করে জনগণের সমস্যাগুলোকে সম্পৃক্ত করে দুটিকে নিয়েই বিএনপির আগানো উচিত।
রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজের শক্তির আস্থা রেখে গণমানুষের দাবি নিয়ে রাজপথে নামতে বিএনপির প্রতি পরামর্শ দিয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, মুক্তি গুরুত্বপূর্ণ, তার সাথে নির্বাচন এবং সাধারণ মানুষের কাছে যাওয়া অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে, দলীয় দাবিদাওয়ার সঙ্গে জনগনের চাওয়া-পাওয়ার সমন্বয় করেই সামনে কর্মসূচি দেয়ার কথা ভাবছে বিএনপি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীকে আপনি অন্যায়ভাবে জেলে রাখবেন এটার প্রতিবাদ দেশের জনগণ করবে না? বাকি কর্মসূচিগুলো আমাদের প্রক্রিয়াধীন আছে। সামনে কর্মস‚চি আসবে।