শিরোনাম
◈ বিদেশে আশ্রয় আবেদনে শীর্ষে বাংলাদেশিরা: বাড়ছে আবেদন, কমছে স্বীকৃতি ◈ মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে গুম অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ ◈ মাঝরাতে কক্সবাজারে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত ◈ যেসব সুবিধা পান রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা  ◈ আইআরআই জরিপ: ইউনূস সরকারের প্রতি আস্থা অটুট, ৮০% বাংলাদেশি অবাধ–সুষ্ঠু নির্বাচনে আশাবাদী ◈ খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় মোদির বার্তা: চিকিৎসায় সর্বাত্মক সহযোগিতায় প্রস্তুত ভারত ◈ খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা করেছে সরকার ◈ ইন্টার মিলা‌নের জয়, জোড়া গোল করে ইতিহাস লাউতারোর ◈ প্রাথমিক শিক্ষকদের মঙ্গলবারও কর্মবিরতি, হবে না বার্ষিক পরীক্ষা ◈ ২০২৬ থেকে বাধ্যতামূলক সিবিএমএস: বন্ড ব্যবস্থাপনায় পূর্ণ ডিজিটাল যুগে এনবিআর

প্রকাশিত : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৬:১০ সকাল
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৬:১০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আদিবাসী ভাষা সংরক্ষণে অনন্য প্রচেষ্টা চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনের

আব্দুর রাজ্জাক : আদিবাসীদের ভাষা সংরক্ষণ ও প্রসারে এক অনন্য নজির স্থাপন করলো চাপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসন। ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ৫ টি ভাষায় দাওয়াত পত্র ছাপিয়েছে জেলা প্রশাসন। এর মধ্যে রয়েছে ৩টি আদিবাসী ভাষা।

অন্যান্য বছর মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ অন্যান্য অতিথিদের শুধু বাংলা ভাষায় চিঠি পাঠানো হতো। কিন্তু এবার প্রশাসন বাংলা ও ইংরেজিসহ মোট ৫ টি ভাষায় চিঠি ছাপিয়েছে। এতে রয়েছে এই জেলায় বসবাসকারী আদিবাসীদের ভাষা সাদ্রি, সাওতাঁল ও কোল।

চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম। ‘যখন কোন ভাষাকে গুরুত্বপূর্ণ পত্রে লেখা হয় তখনই তা বেঁচে থাকে এবং প্রসার পায়। তাই সরকারের উচিৎ দেশের সকল ভাষাকে সংরক্ষণ ও প্রসারে উদ্যোগ নেয়া’ বলে জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরামের সভাপতি হিঙ্গু মারমু।

প্রশাসনের এ অনন্য উদ্যোগ নিয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক এ জেড এম নুরুল হক বলেন, বাংলা ও ইংরেজির পাশাপাশি আদিবাসী ভাষাগুলোকে সম্মান দেখানোর জন্যই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। এগুলোই এখানকার আদিবাসীদের প্রধান ৩ টি ভাষা। তাই আয়োজিতব্য অনুষ্ঠানের দাওয়া পত্রে সাদ্রি, সাওতাঁল ও কোল ভাষাকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এই জেলার আদিবাসীদের ভাষাগুলোতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে পারলে ও পাঠ্যপুস্ককেও তাদের ভাষাগুলো সংযুক্ত করতে পারলে অনেক শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়া ঠেকানো যেতে পারে। তাই সরকারের উচিৎ এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়