শিরোনাম
◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন

প্রকাশিত : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৬:৫২ সকাল
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৬:৫২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আলোর পথে ফিরতে চান কক্সবাজারের ইয়াবা ব্যবসায়ীরা

জাবের হোসেন: কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত যা দেশে ইয়াবা আসার মূল প্রবেশপথ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। প্রায় দেড় দশক ধরে এই পথে ব্যবসা করছে সেখানকার মানুষ। দেশে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বড় অংশই কক্সবাজারের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে কঠোর অভিযান আর নানা পদক্ষেপেও দমন করা যায়নি ইয়াবা ব্যবসায়ীদের। তবে এবার অন্ধকার জগত ছেড়ে আলোর পথে ফিরতে আগ্রহী এই জগতের মানুষগুলো।

শেষ পর্যন্ত চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের মধ্যস্থতায় পুলিশের উদ্যোগে প্রথমধাপে আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে অন্তত দেড়শ ইয়াবা ব্যবসায়ী। এরমধ্যে ৫৭ জনই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত। যার ২৯ জনই শীর্ষ চোরাচালানী। তারা ইয়াবার চালানের পাশাপাশি জমা দিতে পারে অস্ত্রও।

ইয়াবা ব্যবসায়ীরা বলেন, আমাদের যদি সাধারণ ক্ষমা করে এলাকায় ফেরার এবং জীবন যাপন করার সুযোগ করে দেয়া হয় তবে আর কাউকে এই ব্যবসায় উৎসাহ দেব না। সরকার যদি সহযোগিতা করে, গ্রামে গ্রামে কমিটি গঠন করে দেয়, তাহলে আমরা মাদক বন্ধ করে ফেলবো। প্রশাসন এবং সংবাদিকরা সহযোগিতা করলে মাদক ব্যবসা বন্ধ হবে।

আত্মসমর্পণ তালিকায় দেশে অবস্থানরত চোরাচালানীরা যেমন রয়েছে তমনি থাকছে দেশের বাইরে পালিয়ে থাকা গডফাদাররাও। কক্সবাজারে তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী রয়েছে ১১শ। এরমধ্যে গত একবছরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে ৬০ জন। পর্যায়ক্রমে বাকিদেরও আইনের আওতায় আনার কথা বলছে প্রশাসন।

কক্সবাজার পুলিশ সুপার এবি এম মাসুদ হোসেন বলেন, আমরা আশাকরি ইয়াবা এবং অস্ত্র নিয়ে তারা আত্মসমর্পণ করবে। যে মামলা হবে এই মামলায় তারা জেলে যাবে, এবং রাষ্ট্র যদি সদয় হয় তাহলে তাদের সহায়তা দিতে পারে।কিন্তু তাদের পূর্বে যে মামলাগুলো আছে সেগুলো তারা নিজেরাই মোকাবেলা করবে।

তিনি আরো বলেন, কঠোর আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন দরকার। যাতে আমাদের দেশে কেউ ইয়াবা ব্যবসা না করতে পারে। কক্সবাজার আইন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট মো. বাহার উদ্দিন বলেন, তারা যেহেতু আত্মসমর্পণ করছে। এবং বলছে আমরা আর এই ব্যবসা করবো না। এটা সমাজ এবং দেশের জন্য ইতিবাচক।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়