শিরোনাম
◈ উগান্ডা‌কে হা‌রি‌য়ে নারী কাবাডি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শুভ সূচনা ◈ বর্ণিল আয়োজনে ঢাকায় নারী কাবাডি বিশ্বকাপের উদ্বোধন হ‌লো ◈ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়: প্রতিক্রিয়ায় যা বলল ভারত ◈ ‘ভারত কোনো অবস্থাতেই হাসিনাকে ফেরত দেবে না’ ◈ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফেসবুক স্ট্যাটাসে যা লিখলেন ◈ এই ট্রাইব্যুনাল যেন চালু থাকে, এখানে একদিন হাসিনারও বিচার হবে: সালাউদ্দিন কাদেরের সেই বক্তব্য ভাইরাল (ভিডিও) ◈ শেখ হাসিনাকে কোন অভিযোগে কী সাজা দেওয়া হয়েছে ◈ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এপিএম টার্মিনালসের ঐতিহাসিক পিপিপি চুক্তি ◈ খুনি হাসিনার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় যা বললেন সারজিস ◈ ইউ‌রো‌পের মা‌ঠে ফিলিস্তিন ফুটবল দ‌লের বিশেষ বার্তা

প্রকাশিত : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:২০ সকাল
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:২০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পতাকা উত্তোলন এবং আ স ম আব্দুর রব

হাসান বিন বাংলা : তিনি প্রায়শই স্বাধীনতা পূর্ব আন্দোলনে ছাত্রলীগের পক্ষ হয়ে প্রথম পতাকা উত্তোলনের দাবি করেন এবং এই দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তিনি সত্য-মিথ্যার মিশেলে ইতিহাস বিকৃত করে চলেছেন।
জাতীয় পতাকা : যখন এই দেশটি পাকিস্তানি হানাদারদের শোষণ-বঞ্ছনার শিকার তখন বঙ্গবন্ধু দেশমাতৃকার মুক্তির লক্ষ্যে জনগণকে পাশে নিয়ে গণতান্ত্রিক বিপ্লব এবং সশস্ত্র বিপ্লবÑ দুই ধারাকেই অত্যন্ত সফলতার সাথে পরিচালনা করেন। আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে জাতীয় পতাকার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় মূলত আমাদের স্বতন্ত্র পরিচয় প্রকাশের জন্য এবং এর পরিকল্পনা করা হয় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে/ইঙ্গিতে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ছাত্রলীগের কর্মী শিবনারায়ণ দাসের মাধ্যমে জাতীয় পতাকার একটি ড্রয়িং তৈরি করে। ড্রয়িং অনুযায়ী পতাকা তৈরির দায়িত্ব পড়ে তৎকালীন বিখ্যাত ছাত্রনেতা খসরুর ওপর। এই খসরু তখন পাক সামরিক জান্তার ১৪ বছরের দ-াদেশ মাথায় নিয়ে মধ্যরাতে বের হয়ে যায় পতাকা তৈরির মিশনে। অবশেষে রাত পোহানোর আগেই খসরু পতাকা তৈরি করে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ইকবাল হলে সিরাজুল আলম খানের হাতে তুলে দেন। পরবর্তী সময়ে সিরাজুল আলম খান সেই পতাকাটি নিয়ে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে যান। পতাকা দেখে বঙ্গবন্ধু আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন এবং উপস্থিত সকলকে বলেন, ‘কবে কখন প্রকাশ্যে পতাকাটি উড়াবি আমি বলে দেবো। এখন খুব গোপনে রেখে দে’।
পরবর্তী সময়ে এই পতাকা ১৯৭১ সালের ২ রা মার্চ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে গঠিত স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ আহ্বানকৃত বটতলার (কলাভবনের সন্নিকটে) সমাবেশে সিরাজুল আলম খানের নির্দেশে ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হোসেন একটি বাঁশের ডগায় বেঁধে ইকবাল হল থেকে মিছিল নিয়ে পৌঁছায়। সমাবেশে উপস্থিত ছাত্র-জনতা বিপুল আনন্দ উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে এবং সেই পতাকাটি তৎকালীন ছাত্রনেতা আ স ম রব কলাভবনের ছাদে ওঠে উত্তোলন করেন। এই হলো পতাকা কাহিনী। এটা পরিস্কার যে, জাতীয় পতাকার ডিজাইন-ড্রয়িং- তৈরি এবং উত্তোলন পুরো পর্বটাই ছিলো একটা টিম স্পিরিটের ফসল। অথচ সেখানে আ স ম রব আজ সেই কৃতিত্ব একাকী নিজের পকেটে পুড়তে চান!
দুর্ভাগ্যজনক হলো, আজকের প্রজন্ম এই পতাকা তৈরির সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আইয়ুব খানের শাসনামলে ১৪ বছরের দ-াদেশপ্রাপ্ত বিখ্যাত ছাত্রনেতা খসরুর নামটিই জানে না। এই তথ্য ঘাটতির সুযোগেই আ স ম রবরা প্রথম পতাকা উত্তোলনের স্বীকৃতি আদায়ে ইতিহাস বিকৃত করে চলেছেন। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়