জাবের হোসেন: নিত্য ব্যবহৃত প্রযুক্তিপণ্যটি অচল হয়ে গেলেও পুনঃপ্রক্রিয়ায় এসব অচল পণ্য থেকে মূল্যবান ও প্রয়োজনীয় পদার্থ সংগ্রহ করা সম্ভব। প্রতিদিন যেসব ইলেকট্রনিক পণ্য ব্যবহার করে মানুষ, তারমধ্যে কেবল মোবাইলেই পুনঃব্যবহার সম্ভব এমন পদার্থ আছে কমবেশি ১৬টি। যার অর্ধেকই লোহা। আর প্লাস্টিক রয়েছে ২১ শতাংশ। চ্যানেল ২৪
বুয়েটের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, মোবাইল টাওয়ার থেকে শুরু করে শিশুদের খেলনা, দেশে ই-বর্জের উৎস কমপক্ষে ১৫টি। এসব উৎস বর্জ্য পুনঃপ্রক্রিয়ায় স্বর্ণ, রূপা, প্যালাডিয়ামসহ নানা ধরনের মূল্যবান ধাতু পাওয়া সম্ভব। এমন কী মিলতে পারে, অতিমূল্যবান প্লাটিনাম। ফলে ই-বর্জ্যে রয়েছে বাণিজ্যের অপার সম্ভাবনা। বুয়েট সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ড. রওশন মমতাজ বলেন, এগুলো এখন একটা বর্জ্য হিসেবে যুক্ত হচ্ছে। এই বর্জ্য গুলো থেকে যদি খুব গুরুত্ব পূর্ণ কিছু বের হয় তাহলে এটা থেকে অর্থনৈতিক মূল্য অনেক বেশি।
দেশের প্রখম ই-বর্জ্য পুনঃপ্রক্রিয়াকারী প্রতিষ্ঠান আজিজু রিসাইক্লিং অ্যান্ড ই-ওয়েস্ট কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক এ.বি. সিদ্দিক সেলিম মিয়ার মতে, নতুন এ সম্ভাবনা উন্মোচনে দরকার সরকারের বিশেষ দৃষ্টি। তিনি বলেন, সরকার যদি একটু নজর দেয় আমরা অনেক মুনাফ অর্জন করতে পারবো। আর মিডিয়া যদি প্রচার করে তাহলে এদেশের ই-বর্জ্য নিয়ে সমস্য অবশ্যই দূর হবে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলছে, আইনে সংশোধনী না আসা পর্যন্ত এ খাতে সরকারি প্রণোদনা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ওয়েস্ট মেনেজমেন্টটা সামাজিক দায় বদ্ধতার মধ্যে আনতে হবে। সম্ভব হলে ২৩ ধারাকে একটু সংসধোন করতে হবে। যে ওয়েস্ট মেনেজমেন্টটা সামাজিক দয়বদ্ধ। এই খাতেও খরচ করা যাবে।
যদিও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, ই-বর্জের পুনঃপ্রক্রিয়ার প্রচেষ্টাকে নানাভাবেই উৎসাহিত করা সম্ভব। তিনি বলেন, আপনারা ট্যাক্স হলিডে যাইতে পারেন, যখন এই পণ্য রপ্তানি করেন তখন কেস ইনসেপ্টটিভ চাইতে পারেন। অন্য সুবিধা গুলো চাইতে পারেন।
সংশ্লিষ্টদের মতে, ব্যবসায়িক সম্ভাবনা পুরোদমে কাজে লাগানো গেলে, ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা অনেকটাই সহজ হবে।