শিরোনাম
◈ টানা ৩ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা ◈ জাতিসংঘে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রস্তাব বিপুল ভোটে পাস, বিপক্ষে ভোট দিল যারা ◈ ভোট চুরি চলতে থাকলে ভারতেও নেপাল–বাংলাদেশের মতো গণবিক্ষোভ ঘটতে পারে: অখিলেশ যাদব ◈ আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে: লন্ডনে তথ্য উপদেষ্টা ◈ যশোর সীমান্তে স্বর্ণপাচার বেড়েছে, আট মাসে উদ্ধার ২৬ কোটি টাকার স্বর্ণবার ◈ নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা  ◈ লন্ডনে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর হামলার চেষ্টা আ. লীগ নেতাকর্মীদের (ভিডিও) ◈ বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের যত চ্যালেঞ্জ ◈ দুর্বল ওমান‌কে হা‌রি‌য়ে ভারতকে উড়িয়ে দেবার হুম‌কি পা‌কিস্তা‌নের ◈ নিউইয়র্কে নেতানিয়াহুকে গ্রেফতার করতে চান মেয়র প্রার্থী মামদানি!

প্রকাশিত : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৬:২৫ সকাল
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৬:২৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য পুনঃপ্রক্রিয়ায় নতুন বাণিজ্যের হাতছানি

জাবের হোসেন: নিত্য ব্যবহৃত প্রযুক্তিপণ্যটি অচল হয়ে গেলেও পুনঃপ্রক্রিয়ায় এসব অচল পণ্য থেকে মূল্যবান ও প্রয়োজনীয় পদার্থ সংগ্রহ করা সম্ভব। প্রতিদিন যেসব ইলেকট্রনিক পণ্য ব্যবহার করে মানুষ, তারমধ্যে কেবল মোবাইলেই পুনঃব্যবহার সম্ভব এমন পদার্থ আছে কমবেশি ১৬টি। যার অর্ধেকই লোহা। আর প্লাস্টিক রয়েছে ২১ শতাংশ। চ্যানেল ২৪

বুয়েটের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, মোবাইল টাওয়ার থেকে শুরু করে শিশুদের খেলনা, দেশে ই-বর্জের উৎস কমপক্ষে ১৫টি। এসব উৎস বর্জ্য পুনঃপ্রক্রিয়ায় স্বর্ণ, রূপা, প্যালাডিয়ামসহ নানা ধরনের মূল্যবান ধাতু পাওয়া সম্ভব। এমন কী মিলতে পারে, অতিমূল্যবান প্লাটিনাম। ফলে ই-বর্জ্যে রয়েছে বাণিজ্যের অপার সম্ভাবনা। বুয়েট সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ড. রওশন মমতাজ বলেন, এগুলো এখন একটা বর্জ্য হিসেবে যুক্ত হচ্ছে। এই বর্জ্য গুলো থেকে যদি খুব গুরুত্ব পূর্ণ কিছু বের হয় তাহলে এটা থেকে অর্থনৈতিক মূল্য অনেক বেশি।

দেশের প্রখম ই-বর্জ্য পুনঃপ্রক্রিয়াকারী প্রতিষ্ঠান আজিজু রিসাইক্লিং অ্যান্ড ই-ওয়েস্ট কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক এ.বি. সিদ্দিক সেলিম মিয়ার মতে, নতুন এ সম্ভাবনা উন্মোচনে দরকার সরকারের বিশেষ দৃষ্টি। তিনি বলেন, সরকার যদি একটু নজর দেয় আমরা অনেক মুনাফ অর্জন করতে পারবো। আর মিডিয়া যদি প্রচার করে তাহলে এদেশের ই-বর্জ্য নিয়ে সমস্য অবশ্যই দূর হবে।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলছে, আইনে সংশোধনী না আসা পর্যন্ত এ খাতে সরকারি প্রণোদনা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ওয়েস্ট মেনেজমেন্টটা সামাজিক দায় বদ্ধতার মধ্যে আনতে হবে। সম্ভব হলে ২৩ ধারাকে একটু সংসধোন করতে হবে। যে ওয়েস্ট মেনেজমেন্টটা সামাজিক দয়বদ্ধ। এই খাতেও খরচ করা যাবে।

যদিও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, ই-বর্জের পুনঃপ্রক্রিয়ার প্রচেষ্টাকে নানাভাবেই উৎসাহিত করা সম্ভব। তিনি বলেন, আপনারা ট্যাক্স হলিডে যাইতে পারেন, যখন এই পণ্য রপ্তানি করেন তখন কেস ইনসেপ্টটিভ চাইতে পারেন। অন্য সুবিধা গুলো চাইতে পারেন।

সংশ্লিষ্টদের মতে, ব্যবসায়িক সম্ভাবনা পুরোদমে কাজে লাগানো গেলে, ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা অনেকটাই সহজ হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়