শিরোনাম
◈ চট্টগ্রাম বন্দরে সাইফ পাওয়ার টেকের যুগের অবসান, এনসিটির দায়িত্বে নৌবাহিনী ◈ ১ ট্রিলিয়ন ডলারের খনিজের খেলায় তালেবান, পেছনে চীন-রাশিয়া-ইরান-ভারত! ◈ পাকিস্তানকে ঠেকাতে গিয়ে ভারতে বন্যা, তোপের মুখে কঙ্গনা (ভিডিও) ◈ ৫ আগস্ট লক্ষ্য ছিল গণভবন, এবার জাতীয় সংসদ: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ গাজীপুরে মহানগর বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার ◈ দেশের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় জনগণ ঐক্যবদ্ধ : মির্জা ফখরুল ◈ রেস্ট হাউজে ‘নারীসহ’ ওসি, আটক করে ‘চাঁদা দাবি’ ছাত্রদল নেতার, সিসিটিভির ফুটেজ ফাঁস ◈ আর একটি হত্যাকাণ্ড ঘটলে সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ: হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের ◈ ধামরাইয়ে ঋণ দেওয়ার কথা বলে গৃহবধুকে ধর্ষণ, আসামী গ্রেফতার ◈ গাজীপুরে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার বিএনপি নেতা স্বপন

প্রকাশিত : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৩:১০ রাত
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৩:১০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ছাত্রীর হিজাব টেনে খোলার চেষ্টা শিক্ষকের (ভিডিও)

আক্তারুজ্জামান : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পর্দা-হিজাবের পক্ষে-বিপক্ষে অনেক কথায় বলেন অনেকে। কেউ বলেন পক্ষে আবার কেউ বিপক্ষে। কিন্তু সরাসরি কেউ আঘাত করেন না। কেননা বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। মুসলিমদের পর্দা প্রথার অংশ হিসেবেই নিকাব বা হিজাবের ব্যবহার করেন বাংলাদেশি মুসলিম নারীরা। কিন্তু গতকাল শনিবার (ফেব্রয়ারি) ঘটে গেছে এক ঘৃণ্য ঘটনা।

ছাত্রীরা পরীক্ষার হলে হিজাব পরে আসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন হল শিক্ষক। ছাত্রীদের সঙ্গে এই নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পরীক্ষার হলে মেয়েদের হিজাব ধরে টানাটানির মতো ঘৃণ্য কাজও করেন ওই শিক্ষক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের টাইমলাইন জুড়ে ঘোরাফেরা করছে এমনই একটি ভিডিও।

এসএসসি পরীক্ষায় সিলেটে একটি কেন্দ্রে দেরিতে প্রশ্নপত্র দেওয়ার অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। প্রশ্ন দিতে বিলম্ব হওয়ায় অতিরিক্ত সময় চাইলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হল পর্যবেক্ষক এবং সংশ্লিষ্টরা খারাপ আচরণ করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সিলেটের জেলা প্রশাকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই কেন্দ্রের ১৭ জন পরীক্ষার্থী। শনিবার সিলেটের কিশোরী মোহন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গণিত পরীক্ষায় এ ঘটনা ঘটে। বিকেলে একদল পুলিশ ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেছে।

অভিযোগে বলা হয়, রুটিন অনুযায়ী শনিবার সকাল ১০টায় ছিল এসএসসির গণিত পরীক্ষা ছিল। কিন্তু নগরীর দি এইডেড হাই স্কুলের সাবকেন্দ্র কিশোরী মোহন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৪, ১৭, ১৮, ১৯ এবং ২০ নম্বর কেন্দ্রে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেওয়া হয় ১৫ মিনিট দেরিতে। প্রশ্নপত্র বিলম্বে দেওয়ায় ওই কক্ষগুলোর পরীক্ষার্থীরা অতিরিক্ত সময় চাইলে তাদেরকে সময় দেওয়া হয়নি। উল্টো খারাপ আচরণ করে উত্তরপত্র তুলে নেন পর্যবেক্ষকরা।

এছাড়া মেয়ে শিক্ষার্থীদের হিজাব খুলে নেওয়া, ছেলেদের টাই খুলে নেওয়াসহ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিবাবকদের সাথে খারাপ আচরণের অভিযোগ করেন পরীক্ষার্থীরা। পর্যাপ্ত সময় না পাওয়ায় ফলাফল বিপর্যয় হতে পারে এমন শঙ্কায় অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

এদিকে ওই বিদ্যালয়ের ৯ নম্বর কক্ষে ২০১৯ সালের সিলেবাসের পরীক্ষার্থীদের দেওয়া হয় ২০১৬ সালের সিলেবাসের প্রশ্নপত্র। পরে আরো ১০-১৫ মিনিট পর সেই প্রশ্ন ফেরত নিয়ে দেওয়া হয় ২০১৯ সালের সিলেবাসের প্রশ্নপত্র। এমন অভিযোগও করেছেন ওই কক্ষের পরীক্ষার্থীরা।

ওসমানী মেডিকেল উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী এবং বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুলের আরেক শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৪জন শিক্ষার্থী পরীক্ষার হলরুমে তাদের হিজাব খুলে নেওয়া হয় এবং স্কলার্সহোম স্কুলের একাধিক শিক্ষার্থী তাদের টাই খুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।

ওই কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব ও এইডেড স্কুলের প্রধান শিক্ষক শমসের আলী সাংবাদিকদের জানান, ২০১৬ সালের প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা ভুয়া। শুধুমাত্র বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত একজন শিক্ষার্থীই ২০১৬ সালের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়েছে। অন্য কেউ এমন প্রশ্ন পেয়েছে প্রমাণ করতে পারবে না। প্রশ্ন দেরিতে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন- আসলে আমাদের কাছে প্রশ্ন এসে পৌঁছায় ৯টা ৩৫ মিনিটে। তা সঠিকভাবে বন্টন করতে করতে একটু দেরি হয়ে যায়।

কিশোরী মোহন স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং কেন্দ্রের যুগ্ম সচিব গৌরা ঘোষ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মেয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে কানে কোনও ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষা দিতে না পারে সেজন্য আমরা কান পর্যন্ত হিজাব খুলতে বলেছি।

ছেলেদের টাই খুলে নেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, তদন্ত করে যদি অভিযোগ প্রমাণ হয়; তবে দোষী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দেখে নিন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি.....

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়