শিরোনাম
◈ হাসিনা বিরোধীদের দমন করতেন হিটলারের মতো: ট্রাইব্যুনালে মাহমুদুর রহমান ◈ যমুনা অভিমুখে বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকরা, পুলিশের জলকামান–সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ (ভিডিও) ◈ বিবিএসের নামসহ বদলে যাচ্ছে অনেক কিছু, আসছে আমূল পরিবর্তন ◈ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও গভীর বাণিজ্যিক সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা ◈ তিতুমীরের সামনে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ, মহাখালীতে যানজট ◈ মোবাইল নেটওয়ার্কে ইয়াবার হোম ডেলিভারি: উত্তরা-তুরাগ মাদক সিন্ডিকেটে অতিষ্ঠ নগরবাসী ◈ পেলেকে ছাড়িয়ে গে‌লেন, রেকর্ড ১৮ কোটি ২৬ লাখ টাকায় বিক্রি মেসির কার্ড ◈ মন্ত্রীপাড়া থেকে গ্রেফতার সেই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতমার্কিন নাগরিক এনায়েত রিমান্ডে ◈ কোটিপতি তানিয়া বিয়ে করতে চান বেকার ছেলে, স্বামীকে বসিয়ে খাওয়াবেন সারাজীবন ◈ নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু

প্রকাশিত : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৩:৪৫ রাত
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৩:৪৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাজনীতিকরাই রাজনীতির সংকট…

রক্ত পলাশ
অবস্থাটা এমন যে পৃথিবীর সকল মানুষ ভালো হয়ে গেলেও রাজনীতিকরা ভালো হবেন না। অথচ এই রাজনীতিক ছাড়া রাজনীতি চলবে না, রাজনীতি ছাড়া পৃথিবী চলবে না। রাজনীতিহীন পৃথিবী আমরা কল্পনাও করতে পারি না। যদিও অনেক মনীষী ছিলেন বা আছেন যারা বিশ্বাস করেন একদিন পৃথিবী থেকে রাজনীতি বিদায় নেবে, আদৌ তা বাস্তব হবে সে সম্ভাবনা এখনও দেখা যায়নি। দূর ভবিষ্যতে দেখা যাবে, তা-ও হলফ করে বলা যায় না। বরং রাজনীতির বন্যতা ক্রমাগতই বেড়ে চলছে। প্রতিটা দেশই ক্ষতিগ্রস্ত রাজনীতিকদের দ্বারাই, হয় ভুল রাজনীতি অথবা ব্যক্তিকেন্দ্রিক অসৎ নির্মম লোভের রাজনীতি। একদিন এই রাজনীতিকরাই ছিলেন সাধারণ মানুষদের চোখের মণি, আজ আর মানুষ সেরকমটা দেখেন না, কিন্তু এড়াতেও পারেন না। সেসব দিন আমরা খুব বেশি পেছনে ফেলে আসিনি যখন রাজনীতিকরাই দেশের সাধারণ মানুষদের সামাজিক মুক্তি স্বাধীনতার জন্য নিজেদের জান-মাল সবকিছু উৎসর্গ করে ছিলেন। তারা এখন ইতিহাস। আজকের রাজনীতিকরা আলাদা এবং তা প্রায় সকল দেশেই। ক্ষমতাহীন রাজনীতিক সাধারণ মানুষের বন্ধু, কিন্তু হাতে ক্ষমতা আসার সাথে সাথেই হয়ে ওঠেন তিনিই গণমানুষের প্রথম সারির শত্রু। ক্ষমতা হাতে না থাকলে তিনি গণতন্ত্রী, কিন্তু হাতে এলেই স্বৈরতান্ত্রিক চিন্তা-চেতনা-বিশ্বাসের ধারক। ক্ষমতায় আসার আগে তিনি বিশ্বাস করতেন দেশের মানুষের জন্য আইনের শাসন প্রয়োজন তা নিশ্চিত করতে হবে, কিন্তু যখন ক্ষমতা পেলেন তিনি আইন প্রস্তুত করতে থাকেন কী করে আরও কঠিনতর আইন করে সাধারণ মানুষকে দাবিয়ে রাখা যায়, শোষণ নির্যাতন করা যায়, ক্ষমতাকে পোক্ত করা যায়।
সাধারণ মানুষদের চাহিদাগুলোও অতি সাধারণ, নিরাপদ প্রাকৃতিক জীবন, সেই জীবনের মৌলিক চাহিদাগুলোর প্রয়োজনমতো প্রাপ্তি এবং শান্তিময় যাপন। নিশ্চয়ই রাজনীতিকরা তাদের নিজস্ব পৈতৃক সম্পদ দিয়ে তা পূরণ করবেন না, সম্ভবও নয়। তারা নিশ্চিত করবেন একটি সুন্দর ব্যবস্থা যা দ্বারা সাম্য এবং স্থিতি নিশ্চিত করা যায়। এখানেই আজকের বা এই শতকের রাজনীতিকদের সবচেয়ে বড় মানসিক সংকট। নানা বাদ-প্রতিবাদ, হল্লা-চিল্লা তৈরি করে আসল চিন্তাটাকেই দূরে সরিয়ে রেখে শুধু নিজেদের সুখ সমৃদ্ধি লোভের ঘনীভূত স্বপ্ন তৈরি করেন। সেসব তৈরি করতে গিয়ে সকল মেধা-শ্রম-শক্তি-চিন্তা-সম্ভাবনাকে পায়ে দলে যেতে থাকেন। সৃষ্টি হয় বিভেদের রাজনীতি। হিংসার এবং প্রতিহিংসার রাজনীতি। দখল-লুটের রাজনীতি। সাম্য-সমতা-মুক্তি-ভালোবাসা-প্রেমের রাজনীতি পালিয়ে যায় দেশ থেকে, সমাজ থেকে মানুষের অন্তর থেকে। শ্রদ্ধাহীন সামাজিক চিন্তা মানুষের পারস্পারিক সামাজিক দায়িত্ববোধকে কবরস্থ করে দেয়। এই বাস্তবতা এই দশকে তীব্র হয়ে উঠছে, যা গোটা মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য অশনি সংকেত। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়