মাহফুজ নান্টু: রাতকানা ও অপুষ্টি জনিত রোগাক্রান্ত সন্তান কারো কাম্য নয়। এসব রোগে আক্রান্ত শিশুরা কখনোই জাতীর ভবিষ্যত কর্ণধার হতে পারবেনা। তাই আপনার সন্তানটিকে রাতকানা এবং অপুষ্টিজনিত রোগ থেকে দূরে রাখতে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ান। এতে করে আপনার সন্তানটিই সুস্থ থাকবে। আর সুস্থ শিশুরাই আগামী দিনে জাতির কর্ণধার হয়ে স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ভূমিকা রাখতে পারবে। না হয় অসুস্থ সন্তানটি আপনার জন্য সর্বোপরি জাতীর জন্য অভিশাপে পরিনত হবে। আজ শনিবার কুমিল্লা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে জেলা সিভিল সার্জন অফিসে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল ( দ্বিতীয় রাউন্ড) উদ্বোধনকালে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কথা বলেন। এ সময় তিনি নিজ হাতে একটি শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাইয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা: মোঃ মজিবুর রহমান জানান, আজ কুমিল্লা জেলায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগসহ সরকারী ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে জেলার ৪ হাজার ৮৩৫ টি কেন্দ্রে মোট ১০ লাখ ৩০ হাজার ৭১৮ জন শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে দু জন করে সর্বমোট ১৪ হাজার ৫৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করেছেন। সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর কার্যক্রম।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো:মনিরুল হক সাক্কু জানান, ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুলের গুনগত মান ঠিক না থাকায় এ বছর নির্দিষ্ট তারিখে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন করা সম্ভব হয় নি। ক্যাপসুলের গুনগত মান যাচাই-বাছাই শেষ হওয়ায় শনিবার সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত একটানা সিটি কর্পোরেশনের ২৭ টি ওয়ার্ডে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী অন্তত ৫০ হাজার শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে।