শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ◈ মা হিসেবে পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়ে দেশের ইতিহাসে নাম লেখালেন অভিনেত্রী বাঁধন ◈ আরও তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক ◈ সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ ◈ তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা,  বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ ইউনিসেফের ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৫:০৬ সকাল
আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৫:০৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গত বছরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গাড়িতে ২৭ কোটি টাকা খরচ হলেও ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

হ্যাপি আক্তার : প্রতিবছর কয়েক কোটি টাকা পরিবহন খরচ হলেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালের গাড়ি চলে জোড়াতালি দিয়ে। উল্টো অযত্ন আর অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে সরকারি গাড়ি। সংকট সমাধানে কেবল নতুন বাজেটের দিকে নজর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি, অনিয়ম দূর করে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনায় সমাধান হোক বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন সংকট। যমুনা টেলিভিশন।

সড়কের ধুলাবালি, যানজট আর নড়বড়ে গাড়িতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হয় ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর এবং জগন্নাথ ছাত্রদের। পরিবহনগুলোর মধ্যে কয়েকটি উপহার আর বিআরটিসি’র ভাড়া গাড়ি।

পরিবহনের সংকট থাকার পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের গড়িমসি চোখে পড়ার মতো। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপহার আর সৌজন্য জটিলতায় নষ্ট হচ্ছে চারটি বাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ বলছে গাড়িগুলো প্রধানমন্ত্রীর উপহার। আর বিআরটিসি বলছে, এগুলো অনুদান নয়, কম হলেও ভাড়া গুণতে হবে। এই সমন্বয় না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে বাসগুলো।

বিআরটিসি বলছে, একই বাস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেও দেয়া হয়েছে, তারা তো ব্যবহার করছে। আর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন বাসগুলো ব্যবহার করতে পারছে না, আর কেন ভাড়া দিতে পারছে না, তা জাহাঙ্গীরনগরই ভালো বলতে পারবে।

আর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ বলছে, বাসগুলো প্রধানমন্ত্রী উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন। সেই থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ ভেবেছে বাসগুলো ভাড়ামুক্ত।

পরিবহন বাবদ গেল বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট খরচ প্রায় ২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে নিজস্ব কর্মচারিদের বেতন-ভাতা সাড়ে তিন কোকি। বাকি সাড়ে ১৬ কোটি টাকা জ্বালানি, মেরামত ও ভাড়া বাবদ। গড়ে প্রায় ৪৩ লাখ টাকা খরচ গাড়ি প্রতি। তার পরেও স্বাচ্ছন্দ্যে পরিবহন ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়নি।

অন্য দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গাড়ির সংখ্যা অনেক কম। ২৩ হাজার শিক্ষার্থী ও ১ হাজার শিক্ষকের জন্য মোট গাড়ি ১৬টি। গত বছর পরিবহন বাবদ খরচ প্রায় ৭ কোটি টাকা। অপ্রতুল বাসে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি চরমে। অথচ মেরামতের অভাবে নষ্ট হচ্ছে বাস।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, একটি মাত্র চাইনিজ বাস যা মেরামতের যোগ্য না। এটি মেরামত করতে যে পরিমাণ টাকা লাগবে, হিসেব করে দেখা গেছে আর কিছু টাকা দিলে নতুন বাস কেনা যায়।

মঞ্জুরি কমিশনারের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেছেন, পরিবহন খাতে যে অর্থ দেয়া হয় সেখানে ট্রান্সপারেন্সির অভাব আছে। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনিটরিং করার বেশি কিছু নেই।
সম্পাদনা : রাজু

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়