ফরহাদ টিটো : ৬১ বছর বেঁচে ছিলেন আমাদের পপ স¤্রাট, মুক্তিযোদ্ধা আজম খান। এতো লম্বা জীবনেও পুরস্কারটা তার হাতে উঠেনি। অন্যভাবে বললে জীবিত আজম খানকে পুরস্কারের অযোগ্য মনে করেছিলো পুরস্কার নির্ধারক কমিটি। আজম খান মারা গেছেন ২০১১ সালে। তার আরো আট বছর পর পদক নির্ধারকরা বুঝতে পারলেন আজম খানের যোগ্যতা হয়েছে এখন একুশে পুরস্কার পাওয়ার! এবার তাই তারা গুণী ওই মুক্তিযোদ্ধা গায়ককে মরণোত্তর ‘একুশে পদক’ দিয়ে দিলেন।
আরো অস্বস্তিকর আরেকটা কা- করলেন এই একুশে পদকদাতারা। মৃত আজম খানের সঙ্গে জুড়ে দিলেন সুবীর নন্দীকেও । বাংলা সংগীতের মহান এই শিল্পী (সুবীর নন্দী) চল্লিশ বছরের বেশি সময় বাংলাদেশের মানুষকে তার অনন্য কণ্ঠে মুগ্ধ করে রেখেছেন, জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন পাঁচবার। অথচ গত চার দশকে প-িতদের চোখেই পড়লেন না তিনি। যখন পড়লেন তখন আজম খানের সঙ্গে ভাগ করে নিতে হলো বছরটা!
আমাদের এতো বড় মাপের এই দুই গানের মানুষ কী আলাদা বছরে পদকের সম্মানটা পেতে পারতেন না? শুনেছিলাম, গত কয়েক বছরে বিতর্কিত আর হাস্যকর হয়ে উঠেছে একুশে পদক। ব্যাপারটা নিয়ে বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের মাঝামাঝি অবস্থান ছিলো আমার। এখন বিশ্বাস করতেই বাধ্য হচ্ছি... একুশে পদক নিয়ে এতো এতো মানুষের অভিযোগ আর আপত্তি ভুল ছিলো না । ফেসবুক থেকে