সাজিয়া আক্তার : চাঁদাবাজির বড় স্পট এখন গাজীপুরের মিরেরবাজার চৌরাস্তা। মাসিক হার নির্ধারণ করে চালককে দেয়া হচ্ছে টোকেন। কাগজপত্র পরীক্ষার নামে চালক সহকারিকে পুলিশ বক্সে ডেকে হচ্ছে অর্থ আদায়ের ঘটনা। স্থানীয়দের অভিযোগ সেখানকার ট্রাফিক পুলিশ রীতিমতো বাহিনী গঠন করে চাঁদাবাজি করছে বলে কেউ প্রতিবাদের সাহস পাচ্ছে না। ইনডিপেনডেন্ট টিভি
গাজীপুরের পিরেরবাজার চৌরাস্তায় পুলিশের সাথে তৎপর কিছু মানুষকে দেখলে মনে হবে যানজট সামাল দিতে ব্যস্ত তারা। স্থানীয়দের অভিযোগ এদের মাধ্যমেই চাঁদা আদায় করছে পুলিশ। এখানে দিনে কয়েক লাখ টাকা চাঁদা আদায় করার কথা জানায় স্থানীয় ভুক্তভোগীরা। প্রথমে প্রায় প্রতিটি ট্রাক কাভারভ্যান থামিয়ে কাগজপত্র দেখার নাম করে নেয়া হয় পুলিশ বক্সে, তারপর হয় চাঁদা আদায়।
ঘটনাস্থল থেকে মিলেছে ১ ঘণ্টায় অন্তত ৩০ জনকে পুলিশ বক্সে নেয়ার দৃশ্য। এর মধ্যে চার জনের বিরুদ্ধে মামলা হলেও বাকিদের জনপ্রতি পাঁচশ থেকে দুই হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চালক হেল্পারদের অভিযোগ চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে পড়তে হয় নানা হয়রানির মুখে। চাঁদাবাজির এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলো পুলিশ বক্সে। সার্জেন্ট মশিউরের কাছ থেকে টোকেন নিয়ে চালকের সহকারিকে ছেড়ে দিচ্ছিলেন এ চক্রের সদস্য আবুল। টেবিলের ওপরেও ছিলো নানা রকমের টোকেন। এর পরেও অভিযোগ অস্বীকার করলেন পুলিশ সার্জেন্ট, আর দোহাই দিলেন স্থানীয় এক সাংবাদিকের।
মিরেরবাজারের চৌরাস্তায় চাঁদা আদায়ের কারণেই দু’পাশে কয়েক কিলোমিটার যানজট হয় বলেও জানান স্থানীয়রা।