এস এম নূর মোহাম্মদ : দীর্ঘ ষোল বছর পর মামলার রুল নিষ্পত্তি হয়েছে বুধবার। তবে এত দিন রুলের শুনানি না করায় আইনজীবীর প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে আসামিকে জরিমানাও করতে চেয়েছিলেন আদালত। তবে ক্ষমা চেয়ে পার পান ওই মামলার দুই আইনজীবী।
জনতা ব্যাংকের সাবেক ম্যানেজার বিরাজকান্তি ভৌমিকের বিরুদ্ধ থাকা দুদকের মামলায় জারি করা রুল শুনানিতে বুধবার আদালত ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের বেঞ্চে মামলাটির রুল শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত বিরাজকান্তির বিরুদ্ধে থাকা দুর্নীতির মামলায় জারি করা রুল খারিজ করে দেন ও স্থগিতাদেশ তুলে নেন। এর ফলে বিচারিক আদালতে মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন জানান, মুন্সীগঞ্জের টংগীবাড়ী থানার অ্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ এন্ড কোল্ড স্টোরেজের পক্ষে জনতা ব্যাংক বেতকা শাখা থেকে ৯৮ লাখ টাকা উত্তোলন করে ৪৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। বিষয়টি তদন্ত করে তৎকালীন জেলা দূর্নীতি দমন কর্মকর্তা আর কে মজুমদার ১৯৯৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ৭ জনকে আসামি করে টংগীবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। যাতে আসামি করা হয় বিরাজকান্তি ভৌমিককে।
এদিকে বিরাজকান্তি মামলাটি বাতিল চেয়ে আবেদন করলে ২০০৩ সালের ৬ এপ্রিল মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন এবং তিন মাসের স্থগিতাদেশ দেন। তবে এরপর মামলাটির আর শুনানি করা হয়নি। সম্প্রতি রাষ্ট্রপক্ষ এ রুল শুনানির উদ্যোগ নেয় বলে জানান আমিন উদ্দিন।