সাজিয়া আক্তার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিটি সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষ যখন সমর্থন ব্যক্ত করে, তখন তার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়। আমাদের বেলায়ও তাই হয়েছে। এদেশের মানুষ আমাদের ইশতেহারের পক্ষে নিরঙ্কুশ রায় প্রদান করেছে।
তিনি আরো বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত এবং তাদের দোসরদের পরিচালিত নেতিবাচক সকল কিছুর বিপরীতে আমরা ডিজিটাল মাধ্যমে সার্বক্ষণিক ইতিবাচক প্রচার চালিয়েছি। নির্বাচনী প্রচারকালে দেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতি প্রকাশে সমর্থন জানিয়েছেন। এছাড়া নির্বাচনকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করে জনগণের রায় লাভের জন্য তাদের সামনে আমাদের যাবতীয় অর্জন এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরি।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যেকোনো গণতান্ত্রিক নির্বাচন হলো পক্ষ এবং প্রতিপক্ষের মধ্যে ভোটারদের সর্মথন আদায়ের প্রতিযোগিতা। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হলে প্রতিযোগিতা জোরালো হয়। যারা আমাদের প্রতিপক্ষ ছিলো, তাদের কোনো নির্বাচনী প্রস্তুতি কৌশল ছিলো বলে আমার মনে হয়নি।
শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ ছিলো। তারা দুর্বল প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছিলো। নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন সে বিষয়ে অনিশ্চিয়তা ছিলো। নিজেরা জনগণের জন্য কী করবে, সে কথা বলতে ব্যর্থ হয়েছিলো। সোশাল মিডিয়ায় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ছাড়া নিজেদের সাফল্যগাঁথা তুলে ধরতে পারেনি। অবশ্য তাদের সাফল্য বলতে কিছু নেই। ধানের শীষ মার্কায় যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতাদের মনোনয়ন দেয়া, তরুণ ভোটাররা তা মেনে নিতে পারেনি। তরুণরা আর যাই হোক মুক্তিযুদ্ধাপরাধীদের মেনে নিতে পারে না। আর এসব কারণেই ভোটারগণ বিএনপির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন এবং নৌকার অনুক’লে এবার গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছিলো।