আব্দুস সালাম : দখল ও দূষণের কারণে বাংলাদেশের নদীগুলো বিলুপ্ত প্রায়, দখলের হাত থেকে নদী বাঁচাতে শুরু হয়েছে নতুন কর্মসূচি। বুড়িগঙ্গা ও কর্ণফুলিতে শুরু হয়েছে উচ্ছেদ অভিযান ।
ম্যাপ’র পরিচালক সুভংকর চক্রবর্তী বলেন, নদীগুলোতে চলছে দখল বাণিজ্য। একশ্রেণির মানুষ এ বাণিজ্যের সাথে জড়িত দিন দিন তা বেড়েই চলেছে। চরদখলের মত ক্রমশ নদী দখল হচ্ছে এবং তা মানুষের সম্পদে পরিণত হচ্ছে। মাঝে মাঝে লোক দেখানো উচ্ছেদ অভিযান হলেও সেটি যথাযথ নয়। সে কারণে দখলদাররা আরো উৎসাহিত হয়। সেজন্য বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর একদিক দখল হচ্ছে, আর অপর দিক ভেঙ্গে যাচ্ছে। চরকাউয়া এলাকার মানুষ যেভাবে নদী ভাঙ্গনের শিকার হচ্ছে তার জন্য দায়ী এপারের মানুষের নদী দখল করে স্থাপনা তৈরি করা।
তিনি বলেন, এভাবে নদী দখল হলে চরকাউয়ার নদীভাঙ্গন আর ঠেকানো যাবেনা। সরকার যদিও নদী ভাঙ্গন এড়াতে দখল উচ্ছেদ কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন তা কতটুকু কাজে লাগবে তা দেখার ব্যাপার।
তিনি মনে করেন, নদীভাঙ্গন এড়াতে সরকারকে নদী দখল ও দূষণ মুক্ত করা উচিৎ, জয়ন্তী নদীতে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র সেখানে সংর্ঘষ হচ্ছে, এভাবে যদি বালু উত্তোলন করা হয় তবে নদীভাঙ্গন বেড়েই চলবে।
তিনি মনে করেন, মানুষের সচেতনতা ও সরকারের সহযোগিতায় এ অবস্থা থেকে উদঘাটন সম্ভব।