শিরোনাম
◈ পারস্পরিক শুল্ক সংকট: চূড়ান্ত দর-কষাকষিতে বাংলাদেশ ◈ আরব আমিরাতের আবুধাবিতে প্রবাসী বাংলাদেশির ভাগ্যবদল: লটারিতে জিতলেন ৮০ কোটি টাকা ◈ ২৪ ঘণ্টায় গাজায় নিহত ১১৮, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পর্যালোচনায় হামাস ◈ ‘মব এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলে কঠোর পদক্ষেপ নেবে সেনাবাহিনী’ ◈ হোটেলে নারীকে মারধর করা বহিষ্কৃত যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তারের চেষ্টায় পুলিশ ◈ বনানীর জাকারিয়া হোটেলে ঢুকে নারীদের ওপর যুবদল নেতার হামলা, ভিডিও ◈ দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ জামায়াতের নিবন্ধন পুনর্বহালের গেজেট প্রকাশ ◈ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ দিবস পালনের নির্দেশ ◈ তিন দিনের ছুটিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, পাবেন না যারা ◈ উচ্চ ও নিম্ন আদালতকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করতে হবে: সালাহউদ্দিন

প্রকাশিত : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:২৭ সকাল
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:২৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

করপোরেট হাউজগুলো যদি ডাচ-বাংলার মতো মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতো তাহলে দেশের চেহারাটারই পরিবর্তন হয়ে যেতো

কামরুল হাসান মামুন : টিভির চ্যানেল ঘোরাতে ঘোরাতে হঠাৎ করে বিটিভিতে এসে নোঙর করলাম। দেখি ডাচ-বাংলা বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান লাইভ দেখাচ্ছে। ডাচ-বাংলা ব্যাংক বাংলাদেশে একমাত্র প্রতিষ্ঠান যারা কর্পোরেট রেসপনসিবিলিটি পালন করছে। পুরো হলরুম ভরা বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রী আর তাদের অভিভাবক দিয়ে। আমি যখন চ্যানেল সার্ফিং থামালাম তখন বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে এক রিকশাওয়ালার ছেলে বক্তব্য রাখছিলো। দারুণ বক্তব্য। গর্বভরে বলছিলো আমি এক রিকশাচালকের সন্তান। আর এই ছেলেটি পড়ছে কার্জন হলের আমার বিভাগের পাশের বিভাগ অর্থাৎ ইইই বা ইলেকট্রিকাল এবং ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। তার ভাষায় এ সবই সম্ভব হয়েছে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের কারণে। আরো একটি মেয়ে বক্তব্য দিয়েছে সে এক দরিদ্র বর্গাচাষির মেয়ে। সে বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে পড়ছে। এক ডাক্তার বক্তব্য রেখেছেন। তিনি তার জীবনের গল্প বলেছেন। তার বক্তব্যেও উঠে এসেছে ডাচ-বাংলা পাশে না থাকলে তার পড়াশোনাও হতো না। তাদের বক্তব্য শুনতে শুনতে চোখে জল এসে গিয়েছিলো। সারাদেশ থেকে প্রায় ৪ হাজার, হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন ৪ হাজার ছাত্রছাত্রীকে তারা বৃত্তি দিয়েছে। তাদের ৯০ শতাংশই গ্রামের দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়ে। ভাবা যায়? একটি প্রতিষ্ঠান এ রকম হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর জীবন বদলে দিচ্ছে। ডাচ-বাংলা আবার গণিত অলিম্পিয়াডের সাথেও জড়িত। আবার আমাদের ফিজিক্স অলিম্পিয়াডকে সাহায্য করছে। বাংলাদেশে এতো এতো কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান। তারা যদি ডাচ-বাংলার মতো এগিয়ে আসতো দেশের চেহারাটাই পরিবর্তন হয়ে যেতো।

এই যে গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন বড় বড় শিল্পমালিক আছে। তাদের অনেকেই জানে না তারা কতো টাকার মালিক। সত্যি বলতে কী জীবন চালাতে টাকার খুব প্রয়োজন। ভালোভাবে জীবন চালাতে বেশ টাকার প্রয়োজন। আভিজাত্যের সাথে জীবন চালাতে অনেক টাকার প্রয়োজন। কিন্তু একটা পর্যায় আসে যখন এর চেয়ে বেশি টাকা আসলে তাদের জীবনযাত্রার মানকে আরো বাড়াতে পারে না। এরপর তাদের দৃষ্টি দেয়া উচিত আত্মার শান্তির দিকে। মানুষকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, মানুষকে লেখাপড়া করতে সাহায্য করা, অসুস্থ মানুষের চিকিৎসা সেবায় পাশে দাঁড়ানো ইত্যাদি করলে মনের যেই শান্তি হয় সেটা অন্য কোনোভাবে পাওয়া সম্ভব নয়। সেজন্যই সারা পৃথিবীতে কর্পোরেট রেসপনসিবিলিটি নামক একটি শব্দ চালু রয়েছে। এরই আওতায় পৃথিবীর বড় বড় ধনীরা যেমন বিল গেটস অনেক চ্যারিটি কাজের সাথে জড়িত। অধ্যাপক ইউনূস যে সামাজিক ব্যবসার কথা বলেন সেটারও মূল উদ্দেশ্য এটাই। আশা করি আমাদের বিত্তবানরাও সমাজের অপেক্ষাকৃত কম সৌভাগ্যবানদের সৌভাগ্য পরিবর্তনে ভূমিকা রাখবে। ফেসবুক থেকে

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়