আফজাল হোসেন : গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে টক বরই চাষে লাভের মুখ দেখছেন শত শত কৃষক। সেইসঙ্গে বাড়ছে বড়ই চাষের বাণিজ্যিক উৎপাদন। গত কয়েক বছরেই বাণিজ্যিক ভিত্তিতে টক বরই চাষ হচ্ছে উপজেলা জুড়েই। আর এতেই স্বাবলম্ভী হয়ে উঠছে হতদরিদ্র পরিবারগুলো।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের তথ্য মতে, শ্রীপুরে এবার ২০০ হেক্টর জমিতে বরই চাষ হয়েছে। এই অঞ্চলের মাটি উঁচু হওয়ায় প্রতিবারের মত এবারও বরইয়ের ভালো ফলন হয়েছে।
আশার দিক হচ্ছে বর্তমানে কৃষকরা টক বরই চাষের দিকে প্রতিনিয়ত ঝুঁকছে। কেননা আচার তৈরি ,সংরক্ষণের ব্যবস্থা ও দাম ভালো থাকায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে টক বরই চাষ। এবার শ্রীপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে আপেল কুল,বাউ কুল ও কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত নারকেলি(বারি-১) জাতের বরইয়ের চাষও করা হচ্ছে।
শ্রীপুরের বরইচাষি জোবায়ের হোসেন প্রায় আট বিঘা পতিত জমিতে টক বরই চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। তার মতে, বাড়ির আশপাশের পতিত জমিতে বরই চাষে তার মত এলাকার অনেকেই আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন।
জেলা কৃষি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক(উদ্ভিদ সংরক্ষণ) রফিকুল ইসলাম খান জানান, গাজীপুরে বসতবাড়ির আশপাশে ফেলে রাখা পতিত জমিতে ব্যাপকভাবে বরই চাষ হচ্ছে। বরই গাছে কৃষকরা কলম করে তারা সহজেই জাত পরিবর্তন করতে পারে। বর্তমানে প্রতি হেক্টর জমিতে ১০-১৫টন বরই উৎপাদন হচ্ছে।
গাজীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মাহবুব আলম জানান,বিলুপ্ত প্রায় দেশীয় প্রজাতির টক বরই চাষে আলোর মুখ দেখছে গাজীপুরের কৃষকরা। ব্যাপক চাহিদার আলোকে আগাম জাতের এসব বরই চাষে দাম ভালো পাওয়ায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে টক বরই চাষ। এতে একদিকে চাষিরা উপকৃত হচ্ছে অপরদিকে গ্রামীণ অর্থনীতিও সমৃদ্ধ হচ্ছে।
সম্পাদনা : মুরাদ হাসান