আলফা আরজু : আপনাদের কী মনে আছে, ‘জুন ২০১০’-এ এক মা তার দুই শিশু সন্তান নিয়ে ঢাকার জুরাইনে আত্মহত্যা করেছিলেন স্বামীর পরকীয়া প্রেমের কারণে। তারপর সেপ্টেম্বর ২০১৪-তে দুই কিশোর ভাই-বোন ঢাকার উত্তরায় আত্মহত্যা করেছিলো, বাবার পরকীয়ার জের ধরে...। এ রকম আরও হাজারও ঘটনা ঘটছে আমাদের চোখের সামনে অথবা অন্তরালে। ডা. আকাশ সাহেবের আত্মহত্যার কারণও এই পরকীয়া (তার স্ট্যাটাস ও পত্রিকা মারফত জানা)। এখন কথা হলো কেন আমরা এই ‘পরকীয়া’ নিয়ে মুখোমুখি হই না, প্রথম দিন থেকেই? একটা সম্পর্ক নিয়ে টানাটানি করার কিছু নেই। যিনি সম্পর্কের প্রতি আন্তরিক নন, তাকে কাগজ (বিবাহ/নিকাহনামা) কিংবা সমাজে মুখ থাকবে না/মানুষ কী বলবে দিয়ে তালি দেয়ার দরকার কী? ভাইয়া/আপু, আমাদের সকলেরই ‘মানসিক-শারীরিক’ চাহিদা আছে ও থাকবে। যুগ যুগ ধরেই ছিলো এবং থাকবে।
সামাজিক-পারিবারিক কারণ দেখিয়ে আমরা তিক্ত সম্পর্কগুলো বয়ে বেড়াই। একসময় না পেরে কেউ আত্মহত্যা করেন, কেউ মানসিকভাবে ভুগতে থাকেন। আসলে যতোদিন পর্যন্ত আমাদের এই ‘মানসম্মান’, ‘কে কী বলবো’Ñ টাইপের মানসিকতা থাকবে এসব পরিস্থিতি থেকে আমরা বের হতে পারবো না। আর বিয়ে সফল হলো না তাই ‘সেই দম্পতি খারাপ মানুষ’ ভাবাটাও আমাদের দৈন্যতা। একজন খুব ভালো মানুষ (নারী-পুরুষ) বিবাহিত জীবনে সফল নাও হতে পারেন। সেজন্য সমাজ ও পরিবারের মানুষগুলো যদি ‘জাজমেন্টাল’ না হন। দেখবেন, অনেকেই এসব নিয়ে কথা বলছেন, সমাধানও পাবেন। স্ত্রী-স্বামীকে, প্রেমিক-প্রেমিকাকে ভালো লাগছে না। এ কথা বলে দুজনে মিলে ঠিক করুন, কী করবেন। সমাজ-সংসারের অন্য কেউ কিছু নয়। আপনারা একসাথে থাকতে না পারলে আলাদা হয়ে যান (বিষয়টা সহজ নয়, আবার কঠিন কিছুও নয়)। একটু সম্পর্কের প্রতি সৎ হোন। ফেসবুক থেকে