জুয়েল খান : নারী নেত্রী ও মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির বলেছেন, পাঠ্যপুস্তকে নারীদের নিয়ে এমন লেখা বই থেকে সরিয়ে ফেলা উচিত। এটা সম্পূর্ণরূপে একটা ভুল তথ্য দিচ্ছে। এটা পুরো সমাজের মধ্যে একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে। এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তিনি আরো বলেন, ষষ্ঠ ও নবম-দশম শ্রেণির গার্হস্থ্য অর্থনীতির পাঠ্যপুস্তকে লেখা হয়েছে ফর্সা ও কালো মেয়েদের কোন ধরনের পোশাক পরলে নারীকে ভালো লাগবে, হ্যাংলা ও মোটা মেয়েরা তাদের দুর্বলতা ঢাকতে কী করতে হবে ইত্যাদি বিষয়। একইসাথে পাঠ্যপুস্তকে লেখা রয়েছে ফর্সা মেয়েদের সব ধরনের পোশাকেই ভালো লাগে এসব কথা। এ বইয়ে কালো মেয়েরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। সভ্যতার এ যুগে এসে কালো-ফর্সা, হ্যাংলা-মোটা কোনো বৈষম্যের বিষয় হতে পারে না। যেখানে নারীকে একজন নারী নয় বরং একজন মানুষ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তিনি বলেন, সভ্যতার এ পর্যায়ে এসে, ২০১৯ সালে যদি বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকে নারীকে বৈষম্যের শিকার হতে হয় তাহলে আমাদের লজ্জার সীমা থাকে না। যেখানে দেশের প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় সংসদের স্পিকার নারী এবং দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীরা আছেন। আমাদের দেশের সকল শিক্ষা ক্ষেত্রে পুরুষের সাথে নারীরা সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে, যেখানে নারীরা এভারেস্ট জয় করছে সেখানে পাঠ্যপুস্তকে নারীদের নিয়ে এ ধরনের বৈষম্যমূলক লেখা খুবই অবমাননাকর। তিনি আরো বলেন, কারো আকার, রং এগুলো হলো নিজের বিষয়। এখানে কী কাপড় পরবে কী রঙের এগুলো কোনো বলার বিষয় নয়।