মারুফুল আলম : প্রতিবছর দেশের দেড় লাখেরও বেশি মানুষ ধূমপানজনিত রোগে মারা যায়। এক দশক আগে তামাক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আর্টিকেলে স্বাক্ষর করলেও প্রত্যাশিত সফলতা আসছে না। প্রয়োজনীয় সরকারি নীতিমালার অভাবে এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: সময় টিভি।
সুজন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ভালো করেই জানেন ধূমপানের ভয়াবহ পরিণতি। চল্লিশোর্ধ বারেকও চান কেউ যেন তার মতো তামাকের নেশায় নিঃশেষ না হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশে প্রতিবছর তামাক ব্যবহারের ফলে মারা যায় দেড় লাখের বেশি মানুষ। শুধু তাই নয়, প্রতিবছর তামাক থেকে যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় হয়, সেবনকারীদের তার দ্বিগুণ খরচ করতে হয় এর কারণে সৃষ্ট ক্যান্সারসহ নানা ধরনের জটিল রোগের চিকিৎসায়।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের রোগতত্ত¡ বিভাগের অধ্যাপক ড. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, 'এক লাখ লোক তামাক ব্যবহার করে মারা যাচ্ছে যাদের বেশিরভাগই হৃদরোগে মারা যাচ্ছে, এমন কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নেই যেটাতে ধূমপান ক্ষতি করে না।' সরকার এবং তামাক কোম্পানির মধ্যে কোনো ধরনের অংশীদারিত্ব চুক্তি হবে না, এমন বেশ কয়েকটি পরামর্শের আলোকে ২০০৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এফসিটিসি আর্টিক্যাল ৫ দশমিক ৩ এ স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ। তবেসেই আলোকে নীতিমালা করা না হলে তা কোনো কাজে আসবে না বলে মত বিশেষজ্ঞদের।