ব্রাত্য রাইসু : বিষাদাক্রান্ত কবিতা বা খুব দুঃশ্চিন্তামূলক কবিতা না হলে তারে ‘পদ্য’ বলার চল আছে। কবিতারে পদ্য বলার মাধ্যমে ব্যঙ্গ বা স্যাটায়ারের উপস্থিতিমূলক কবিতা বা তথাকথিত অগভীর কবিতারে কবিতার দুনিয়া থেকে খারিজ করার চেষ্টা পরিলক্ষিত হয়। কবিতাকে পদ্য ও কবিতায় ভাগ করার চেষ্টা মূলত মেলোডি কবিতার আধুনিক অবস্থানে থাকবার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা।
এমনিতে মেলোডি কবিতাও প্রসঙ্গহীন অবস্থায় হাস্যরসাত্মকই বটে। যেমন বাংলা সিনেমায় যে মেলোডির চাপাচাপি তা হাস্যরসাত্মক। হাস্যরসাত্মক হলেও যেহেতু কবিতা হবে তাই বিষাদাক্রান্ত কবিতা বা ব্যঙ্গ কবিতাও কবিতাই। পদ্য তা প্রকাশের মাধ্যম। এমনিতে কবিতা কেন কবিতা হয় না তা নিয়ে ভাবনার জিনিস আছে মনে হয়। বেশির ভাগ টাইমে দেখা যায়, পুরনো ভঙ্গিকে ধরে রাখতে গিয়ে কবিতা নষ্ট করে নবীনরা। ধরেন শামসুর রাহমান বা আল মাহমুদের কবিতার ভাব বা ভঙ্গি বা থিম এখন আউটডেটেড। কিন্তু কেউ চাইলে তা নিয়ে কবিতা লিখতে পারেন। পদ্যপন্থীরা সেসবের কবিতা মানতে চাবেন না। আমি মানি। আমি মনে করি এখনকার বেশিরভাগ সিরিয়াস ভঙ্গির কবিরা হাস্যরসাত্মক পুরনো বিষণœ ভাবরে তাদের কবিতায় আরাধনা করছেন। ওগুলো নকল হলেও কবিতাই। তবে নেহায়েত ভাব নির্ভর কবিতা তা গভীর বা অগভীর হোক, দুর্বল কবিতার উদাহরণ। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :