রাশিদ রিয়াজ : ব্যবসায়ীক স্বার্থ বজায় রাখা সহ আইনী জটিলতা এড়িয়ে নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালু রাখতে শীর্ষ সার্চ ইঞ্জিন অপারেটর গুগল, এ্যাপেল, মাইক্রোসফ্ট ও ফেসবুক লবিং ফার্মকে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে। গত বছর গুগল লবিষ্টদের পেছনে ব্যয় করেছে ২১.২ মিলিয়ন ডলার। এর আগে ২০১২ সালে গুগলের এধরনের ব্যয় ছিল ১৮.২২ মিলিয়ন ডলার। গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা যথেষ্ট পরিমানে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না এসব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এমন অভিযোগও রয়েছে। এ নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে। এ ধরনের বোঝাপড়ায় সিদ্ধান্ত যাতে গুগল কিংবা ফেসবুকের স্বার্থের বিরুদ্ধে না যায় সেজন্যে লবিষ্টদের কাজে লাগাতে এত অর্থ ব্যয় করছে গুগল ও ফেসবুক। নিউম্যাক্স
এদিকে ফেসবুক জানিয়েছে তারাও লবিংফার্মকে গত বছর বেশ কয়েক মিলিয়ন ডলার দিয়েছে। তবে তার সঠিক হিসেবে জানায়নি ফেসবুক। এর আগে ফেসবুক ১২.৬২ মিলিয়ন ডলার লবিষ্টদের পিছনে খরচের কথা জানিয়েছিল। এধরনের খরচ ফেসবুক আগেও করেছে এবং তখন তার পরিমাণ ছিল ১১.৫১ মিলিয়ন ডলার। এধরনের মিলিয়ন ডলার খরচ করার বিষয়টি সেন্টার ফর রেসপন্সিভ পলিটিক্সের অনুসন্ধানে বের হয়ে এসেছে। তবে এব্যাপারে সরাসরি কিছু বলতে গুগল ও ফেসবুক অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
অনুসন্ধানে এও দেখা যায়, মাইক্রোসফট কর্পোরেশন গত বছর লবিষ্টদের পিছনে খরচ করেছিল ৯.৫২ মিলিয়ন ডলার। এর আগের বছর মাইক্রোসফট এধরনের খরচ করে সাড়ে ৮ মিলিয়ন ডলার। এ্যাপেলের একই সময়ে এ খরচ ছিল যথাক্রমে ৬.৬২ ও ৭.১৫ মিলিয়ন ডলার। কর সংস্কার, অপরাধীদের বিচারে আইন তৈরি, নিত্যনতুন প্রযুক্তি বাজারে ছাড়ার ব্যাপারে অনুমোদন সহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক স্বার্থে লবিষ্টফার্মগুলো টাকার বিনিমধ্যে এসব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা দিয়ে থাকে।