রাশিদ রিয়াজ : আদতেই কোনো নির্মাণ কাজই শুরু হয়নি সৌদি আরবের সৌর বিদ্যুৎ খাতে। কিন্তু ঘোষণা করা হয়েছিল ৬ বছরে এ খাতে বিনিয়োগ করা হবে সাড়ে ৩’শ বিলিয়ন ডলার। সৌদি সরকারও বলছে এ বিনিয়োগ হয়েছে। গত বছরও সৌদি সরকার ঘোষণা করে আগামী ২০২৩ সাল নাগাদ দেশটির ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ আসে সৌর প্যানেল থেকে। এবং এজণ্রে ৫’শ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে তাও বলা হয়। সারাবিশে^ তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় সৌর বিদ্যুতের দিকে মনোযোগ বাড়লেও সৌদিতে পরিস্থিতি ভিন্ন। ব্লুমবার্গ/আরব বিজনেস
ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি বলছে ২০১৬ সাল থেকে সৌদিতে বরং তেলের ব্যবহার দ্বিগুণ হয়েছে। এজিন্সির নির্বাহী পরিচালক ফাতিহ বিরল বলেন, সৌদিতে বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপক এবং সৌর প্যানেল হলে বিশাল নির্মাণ কর্মযজ্ঞ আবশ্যক কিন্তু তা দেশটির কোথাও চোখে পড়ছে না। অথচ ২০১২ সালে সৌদি সরকার ১০৯ বিলিয়ন ডলারের সৌর বিদ্যুৎ কর্মসূচি গ্রহণ করে। যা ২০৩২ সালের মধ্যে সৌর বিদ্যুৎ দেশটির জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করবে বলা হয়। দুই বছর আগে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ২১০ গিগাওয়াটের সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন যা বিশে^র ২০ শতাংশ সৌর বিদ্যুতের সমান।
গত মার্চে জাপানের সফট ব্যাংকের সঙ্গে ২০ হাজার কোটি ডলারের সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প গ্রহণের ঘোষণাও দেন ক্রাউন প্রিন্স। বছরে মাত্র ৪৫ দিন মেঘের ঘনঘটা থাকলেও বাকি দিনগুলোতে সৌদির আকাশ থাকে রৌদ্রকজ্জ্বল ও পরিস্কার মেঘমুক্ত। গত অক্টোবরে ব্লুমবার্গকে ক্রাউন প্রিন্স বলেন ৪ গিগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা। যা ২০২১ সালে সৌদির বিদ্যুৎ চাহিদার ৫ শতাংশ পূরণ করবে। এত সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প নেয়া হয়েছে যা বাস্তবায়ন হলে সৌদির বিদ্যুৎ উৎপাদন বর্তমানের চেয়ে বৃদ্ধি পাবে ৩ গুণ। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কোনো নির্মাণ কাজই চোখে পড়ছে না। অবশ্য ক্রাউন প্রিন্স বলছেন আগামী বছর মাঝামাঝি থেকে এধরনের নির্মাণ কাজ দৃশ্যমান হয়ে উঠবে।