মারুফুল আলম : সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম বলেছেন, সন্ত্রাসী হামলায় বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়পক্ষের নেতাকর্মী মার খেয়েছে। উভয়পক্ষকে এ ধরনের হামলা থেকে নিরুৎসাহিত করার জন্য নির্বাচন কমিশনের উচিত হবে দোষীদেরকে আইডেন্টিফাই করে একবার আইনের আওতায় নিয়ে আসা। শনিবার এনটিভি’র টকশোতে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মারামারির এসব ঘটনাগুলো প্রত্যক্ষ করলে দেখা যায়, দুটো আলাদা মিছিল একে অপরকে অতিক্রম করছিলো, পেছনের দিকের কেউ হয়তো প্রতিপক্ষকে উদ্দেশ্য করে তাচ্ছিল্যপূর্ণ মন্তব্য করলো, পরে অন্যপক্ষ তাচ্ছিল্যপূর্ণভাবে জবাব দিলো। এভাবে হাতাহাতি এবং হাতাহাতি থেকে মারামারি শুরু হলো। কোনো সহিংসতাই কিন্তু পূর্বপরিকল্পিত বলে মনে হয় না।
তিনি আরো বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলামের ওপর হামলার বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশন বিব্রতবোধ করছেন। তার মানে তারাও এ ধরনের হামলাকে সমর্থন করেন না। তবে ইলেকশন কমিশনের পক্ষ থেকে এটার যদি কোন ব্যবস্থা না নেয়া হয়, তাহলে উভয়পক্ষই উৎসাহ পেয়ে যাবে।
সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনী মাঠে নামানোর বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি নির্বাচন কমিশন মনে করেনি যে অতটুকুতে যেতে হবে। সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ২৫ ডিসেম্বর থেকে মাঠে থাকবে। তারপরও সিচুয়েশন ডিমান্ড করলে অনেক কিছুই করা যায়। নির্বাচন কমিশন তো এটা বলেনি যে, ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকবো।
ব্যারিস্টার তানজীব বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে প্রথমবারের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী একটি উদাহরণ তৈরি করতে চান। একইভাবে নির্বাচন কমিশনেরও একটি ক্রেডিটিবিলিটির ইস্যু আছে, এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সমালোচনার কারণে দেখা যাচ্ছে তারাও নির্বাচনকে সুন্দর করার জন্য নিজেদের মতো চেষ্টা করে যাচ্ছে।
নির্বাচন থেকে ঐক্যফ্রন্টের সরে আসার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন ব্যারিস্টার তানজীব। তিনি বলেন, বিএনপি বারবার বলে আসছে এবং সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করার সময় ড. কামাল সাহেবও বলেছেন যে, আমরা কোনোভাবে মাঠ ছাড়বো না বা নির্বাচন থেকে দূরে সরে যাবো না। সুতরাং এরকম মনে করার কোনো কারণ নেই যে, বিএনপিকে ভয় দেখিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য হামলা করা হচ্ছে।