মতিনুজ্জামান মিটু: কৃষি সেবার জন্য আর দুর্ভোগ পোহাতে হবেনা। কৃষকরা হাতের নাগালে পাবেন কৃষি সেবা। সরকার কৃষি কাজে কারিগরী শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকদেরকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে দেশের বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকায় স্থাপন করেছে ‘কৃষক সেবা কেন্দ্র’।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ‘ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক সেবা কেন্দ্র স্থাপন ও প্রযুক্তি হস্তান্তর (পাইলট) প্রকল্পে’র মাধ্যমে দেশের ২১টি জেলার ২৪টি উপজেলার ২৪টি ইউনিয়নে এ ধরনের কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। উপজেলা পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য কৃষক প্রশিক্ষণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় ২০টি ইউনিয়নে আরো ২০টি ‘কৃষক সেবা কেন্দ্র’ নির্মান প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ‘কৃষক সেবা কেন্দ্র’ ইউনিয়নে ‘কৃষি সেবার ওয়ান স্টপ সেন্টার’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
পরামর্শ ছাড়াও এই সেবা কেন্দ্র থেকে কৃষকরা পাবেন কৃষি বিষয়ে নানা প্রশিক্ষণ এবং সরকারি প্রণোদনার সার ও উন্নত মানের বীজ। সেবা কেন্দ্রগুলোতে উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক অবস্থানের জন্য পারিবারিক আবাসন সুবিধা রাখা হয়েছে। তিন তলা বিশিষ্ট সুসজ্জিত ভবনের ভবনের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের অফিস ও পারিবারিক সরকারি বাসস্থান থাকবে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য রয়েছে সৌর প্যানেল, বৃষ্টির পানি সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং ব্যবহারের সুবিধা, ফসল সংগ্রহোত্তর নিরাপদ বাজারজাতকরণ কৌশল বিষয়ে প্রশিক্ষণ সুবিধা এবং কৃষি তথ্য প্রবাহ নিশ্চিতকরণের জন্য কম্পিউটার, প্রজেক্টর, ইন্টারনেট, ফটোকপিয়ার, স্ক্যানারসহ আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে ইউনিয়নের কৃষির ডাটাবেজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কেন্দ্রের খালি জমিতে আধুনিক ও উদ্ভাবিত নতুন প্রযুক্তির এবং স্থানীয় জার্মপ্লাজম সংরক্ষণের জন্য মাতৃবাগান স্থাপন এবং মিনি নার্সারি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মাতৃবাগান হতে বছরব্যাপি চারা বা কলম উৎপাদন ও হাতে কলমে প্রশিক্ষণের সুবিধা রাখা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ মহসীন বলেন, বর্তমানে দেশের ২৪টি ইউনিয়নে পাইলটিং আকারে ‘কৃষক সেবা কেন্দ্র’ স্থাপন করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ‘কৃষক সেবা কেন্দ্র’ গড়ে তোলা হবে।