শিরোনাম
◈ আবারও যুক্তরাষ্ট্রকে আগের সতর্কবার্তা মনে করিয়ে দিলেন খামেনি ◈ ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় গভীর উদ্বেগ: সংঘাত নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে, সতর্ক করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব ◈ ইরানকে শান্তি স্থাপনের আহ্বান, হামলাকে বললেন ‘অসাধারণ সামরিক সাফল্য’: জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে ট্রাম্প  ◈ ইরানের তিন পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলার দাবি ট্রাম্পের ◈ হাজারীবাগে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট ◈ প্রশান্ত মহাসাগরের পথে যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ স্টিলথ বোমারু: নিউইয়র্ক টাইমস ◈ ইসরায়েলকে থামাতে সম্মিলিত কূটনৈতিক পদক্ষেপ জরুরি: ওআইসি সম্মেলনে তৌহিদ হোসেন ◈ ইরানে ডজনখানেক সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলার দাবি ইসরায়েলের ◈ সাংবিধানিক কাউন্সিল : কিছু প্রশ্ন ও বিএনপির আপত্তি ◈ সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে তিনজনের নাম চূড়ান্ত করেছেন খামেনি

প্রকাশিত : ০৪ নভেম্বর, ২০১৮, ০৪:০৫ সকাল
আপডেট : ০৪ নভেম্বর, ২০১৮, ০৪:০৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে’ এই প্রশ্নের উৎস শয়তান থেকে

মো: মারুফুল আলম: ‘আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে’ আসলে এটা কোন প্রশ্নই নয়! বিষয়টি ঈমানের সাথে সংশ্লিষ্ট তাই শয়তানের কুমন্ত্রণায় মনে এমন প্রশ্নের উদয় হয়। একটু চিন্তা করলে বুঝা যাবে, ‘আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে’ প্রশ্নটা এখানেই শেষ হয়ে যায় না। এরপর আল্লাহর সৃষ্টিকর্তাকে কে সৃষ্টি করেছে, এরপর তাকে কে, তারপর তাকে কে? তারপর তাকে কে? এভাবে প্রশ্ন চলতে থাকবে; কোনদিন শেষ হবে না। আসলে সকল কিছুর অস্তিত্বের জন্য এমন একজন থাকা চাই যাকে কেউ সৃষ্টি করেনি, যিনি চিরঞ্জীব। স্রষ্টা আর সৃষ্টির মৌলিক পার্থক্য এটিই। ¯্রষ্টা তাকেই বলে যাকে কেউ সৃষ্টি করতে পারে না, বরং তিনিই সৃষ্টি করেন।
এক ব্যক্তির ঠিক এই প্রশ্নের জবাবে প্রখ্যাত দাঈ ডাক্তার জাকির নায়েক চমৎকার উত্তর দিয়েছিলেন।

তিনি বলেছিলেন, এ প্রশ্নের উত্তর আমি আরেকটি প্রশ্নের মাধ্যমে দিই। ধরুণ জন নামের এক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য। তিনি একটি সন্তান জন্ম দিলেন। আপনি কি বলতে পারবেন, ওই সন্তানটি ছেলে না মেয়ে? ডা. জাকির নায়েক কয়েকবার জিজ্ঞেস করার পরও উত্তর পেলেন না। তখন তিনি বললেন, এখানে বাস্তবতা হলো, জন একজন পুরুষ, সে কিভাবে সন্তান জন্ম দেবে? তাই এমন প্রশ্ন করাও বোকামি যে, তার বাচ্চাটি ছেলে না মেয়ে! তদ্রুপ কেউ যদি প্রশ্ন করে, ‘আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছেন’ তাহলে বলবো, এটা অযৌক্তিক প্রশ্ন। কেউ ঈশ্বরকে সৃষ্টি করতে পারে না, যদি ঈশ্বর সৃষ্টি হয়ে থাকেন, তাহলে বুঝতে হবে তিনি ঈশ্বর নন। আল্লাহ তায়ালার সংজ্ঞা আল্লাহ নিজেই দিয়েছেন এভাবে ‘বলুন, আল্লাহ এক, তিনি অমুখাপেক্ষী, তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি এবং তার সমতুল্য কেউ নেই”। -সূরা ইখলাছ (সূত্র: পিস টিভি)

হাদীসে এসেছে, “হে আল্লাহ্ আপনিই প্রথম; আপনার আগে কিছু নেই। আপনিই শেষ; আপনার পরে কিছু নেই।” -সহিহ মুসলিম (২৭১৩) শয়তান এমন কুমন্ত্রণা দিলে হাদীস অনুযায়ী তাকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় কামনা করতে হবে। পড়তে হবে, ‘আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বনির রজীম’ অথবা সূরা ইখলাস।

এ প্রসঙ্গে হাদীসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (সঃ) বলেছেন, “মানুষ প্রশ্ন করতেই থাকবে, করতেই থাকবে। এক পর্যায়ে বলবে, এ সৃষ্টিগুলোকেতো আল্লাহ্ সৃষ্টি করেছেন, তাহলে আল্লাহ্কে কে সৃষ্টি করেছে? যে ব্যক্তি এমন কোন প্রশ্নের সম্মুখীন হবে সে যেন বলে, আমি আল্লাহ্র প্রতি ঈমান আনলাম।”

রাসূল (সঃ) আরও বলেন, “তোমাদের কারো কাছে শয়তান এসে বলে, কে আসমান সৃষ্টি করেছে? কে জমিন সৃষ্টি করেছে? সে যেন বলে: আল্লাহ্। এরপর পূর্বের হাদিসের ন্যায় (আল্লাহ্র প্রতি ঈমান আনলাম) উল্লেখ করেছেন। সে বর্ণনাতে, رسله (রাসূলগণ) কথাটি অতিরিক্ত আছে। (অর্থাৎ আমানতু বিল্লাহি ওয়া রাসূলিহি। অর্থ- আমি আল্লাহ্র প্রতি ও রসূলগণের প্রতি ঈমান আনলাম)

রাসূল (সঃ) আরও বলেন: “তোমাদের কারো কাছে শয়তান এসে বলে, এটা এটা কে সৃষ্টি করেছে? এক পর্যায়ে বলে, তোমার প্রতিপালককে কে সৃষ্টি করেছে? যদি কারো প্রশ্ন এ পর্যায়ে পৌঁছে যায় তখন সে যেন আল্লাহ্র কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে এবং এ প্রসঙ্গ বাদ দেয়।” -উল্লেখিত সবগুলো হাদিস সহীহ মুসলিম থেকে নেওয়া হয়েছে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়