শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট, ২০১৮, ০১:৫২ রাত
আপডেট : ১৮ আগস্ট, ২০১৮, ০১:৫২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক

মোস্তফা কামাল গাজী: হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল হলো তালবিয়া পাঠ করা। এতে রয়েছে মহান আল্লাহর প্রশংসা ও নিজেদেরকে তাঁর আনুগত্যে সঁপে দেয়ার মর্মবাণী। মহান আল্লাহর নিরঙ্কুশ আধিপত্যকে মেনে নিয়ে মাথা অবনত করার ঘোষণাও রয়েছে এতে। হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের জন্য ইহরাম বাঁধার পরপরই এ তালবিয়া পাঠ করে আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের শির নত করা প্রথম শর্ত ও সুন্নাত।

যারা তালবিয়া পড়বে
হজ ও ওমরাহ পালনকারীর জন্য ইহরামের পর প্রথম কাজই হলো তালবিয়া পড়া। প্রথমবার তালবিয়া পড়া শর্ত। এরপর হজের সব রোকনগুলোতে তালবিয়া পাঠ করা সুন্নত।

আরাফার ময়দান, মিনা-মুজদালিফা তালবিয়ার ধ্বনিতে থাকে মুখরিত। তালবিয়ার শব্দগুলোকে ৪ ভাগে ৩ বার পাঠ করা হয়। তালবিয়ার উচ্চারণ: ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা-শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা, ওয়ান্নিমাতা, লাকা ওয়ালমুলক, লা শারিকালাক।’
অর্থ: আমি হাজির হে আল্লাহ! আমি উপস্থিত! আপনার ডাকে সাড়া দিতে আমি হাজির। আপনার কোন অংশীদার নেই। নিঃসন্দেহে সমস্ত প্রশংসা ও সম্পদরাজির নেয়ামত আপনার এবং একচ্ছত্র আধিপত্য আপনার। আপনার কোন অংশীদার নেই।

তালবিয়া বিশুদ্ধ আরবিতে পড়তে হবে। যারা বিশুদ্ধভাবে তালবিয়া পাঠ করে পারেন না, তাদের উচিত বিশুদ্ধভাবে তালবিয়া শিখে নেয়া।

যখন ও যে স্থানে তালবিয়া পড়তে হয়
১. ইহরামের পর মিকাতেই ১ বার তালবিয়া পড়া শর্ত।
২. অতঃপর বারবার তালবিয়া পড়া সুন্নাত।
৩. হজের সফরে প্রত্যেক ফরজ ও নফল নামাজের পর তালবিয়া পড়া মুস্তাহাব।
৪. হজ ও ওমরার এক রোকন থেকে অন্য রোকনের মধ্যবর্তী সময়ে তালবিয়া পড়া।
৫. উঁচু স্থানে আরোহন কিংবা নিচে নামার সময় তালবিয়া পড়া।
৬. হজের সফরে ওঠা-বসা, ঘুমাতে যাওয়া, ঘুম জেগে ওঠার পর কিংবা স্বাভাবিক চলাফেরায় বেশি বেশি তালবিয়া পাঠ করা।

তালবিয়ার ফজিলত
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোনো মুসলিম যখন তালবিয়া পাঠ করে, তখন তার (তালবিয়া পাঠকারীর) ডানে ও বামে যত পাথর, গাছ ও মাটি ( আছে, এ সবই) তার সঙ্গে তালবিয়া পড়তে থাকে। এমনিভাবে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত গিয়ে তা (পড়া) শেষ হয়।’ (নাসাই: ৫৪৫) হজরত আবু বরক ছিদ্দিক (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, কোন ধরনের হজ সর্বোত্তম? তিনি বললেন, ‘উচ্চস্বরে তালবিয়া পাঠ এবং কুরবানি করা।’ (আহমদ: ৭৬৫) আরেক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমার কাছে জিবরিল আলাইহিস সালাম এসে বললেন যে, আমি যেন আমার সাহাবিদেরকে উচ্চস্বরে তালবিয়া পাঠের নির্দেশ প্রদান করি।’ (তিরমিজি)

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়