শিরোনাম
◈ টাকা পাচারকারীরা অত্যন্ত বুদ্ধিমান, ধরা কঠিন: সালেহউদ্দিন আহমেদ ◈ জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক: উন্নয়ন, সংস্কার ও রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা ◈ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কি ‘পয়েন্ট অব নো রিটার্ন’এ যাচ্ছে? ◈ মিয়ানমারের ঐতিহাসিক সাগাইং মসজিদ সিলগালা ◈ নির্বাচনের আগেই যে পাঁচটা সংস্কারের বাস্তবায়ন দেখতে চান জামায়াত আমীর শফিকুর রহমান! (ভিডিও) ◈ বাজেটে বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি : নাহিদ ইসলাম ◈ রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখাতে হবে যেসব সেবা পেতে ◈ ৬০ কিলোমিটার বেগে রাতের মধ্যে ১০ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস ◈ রয়টা‌র্সের প্রতি‌বেদন : ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে এশিয়া কাপ ক্রিকেট অনিশ্চয়তায় ◈ এক লাক টাকার জাল নোটসহ তিনজন গ্রেফতার

প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট, ২০১৮, ০১:৫২ রাত
আপডেট : ১৮ আগস্ট, ২০১৮, ০১:৫২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক

মোস্তফা কামাল গাজী: হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল হলো তালবিয়া পাঠ করা। এতে রয়েছে মহান আল্লাহর প্রশংসা ও নিজেদেরকে তাঁর আনুগত্যে সঁপে দেয়ার মর্মবাণী। মহান আল্লাহর নিরঙ্কুশ আধিপত্যকে মেনে নিয়ে মাথা অবনত করার ঘোষণাও রয়েছে এতে। হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের জন্য ইহরাম বাঁধার পরপরই এ তালবিয়া পাঠ করে আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের শির নত করা প্রথম শর্ত ও সুন্নাত।

যারা তালবিয়া পড়বে
হজ ও ওমরাহ পালনকারীর জন্য ইহরামের পর প্রথম কাজই হলো তালবিয়া পড়া। প্রথমবার তালবিয়া পড়া শর্ত। এরপর হজের সব রোকনগুলোতে তালবিয়া পাঠ করা সুন্নত।

আরাফার ময়দান, মিনা-মুজদালিফা তালবিয়ার ধ্বনিতে থাকে মুখরিত। তালবিয়ার শব্দগুলোকে ৪ ভাগে ৩ বার পাঠ করা হয়। তালবিয়ার উচ্চারণ: ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা-শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা, ওয়ান্নিমাতা, লাকা ওয়ালমুলক, লা শারিকালাক।’
অর্থ: আমি হাজির হে আল্লাহ! আমি উপস্থিত! আপনার ডাকে সাড়া দিতে আমি হাজির। আপনার কোন অংশীদার নেই। নিঃসন্দেহে সমস্ত প্রশংসা ও সম্পদরাজির নেয়ামত আপনার এবং একচ্ছত্র আধিপত্য আপনার। আপনার কোন অংশীদার নেই।

তালবিয়া বিশুদ্ধ আরবিতে পড়তে হবে। যারা বিশুদ্ধভাবে তালবিয়া পাঠ করে পারেন না, তাদের উচিত বিশুদ্ধভাবে তালবিয়া শিখে নেয়া।

যখন ও যে স্থানে তালবিয়া পড়তে হয়
১. ইহরামের পর মিকাতেই ১ বার তালবিয়া পড়া শর্ত।
২. অতঃপর বারবার তালবিয়া পড়া সুন্নাত।
৩. হজের সফরে প্রত্যেক ফরজ ও নফল নামাজের পর তালবিয়া পড়া মুস্তাহাব।
৪. হজ ও ওমরার এক রোকন থেকে অন্য রোকনের মধ্যবর্তী সময়ে তালবিয়া পড়া।
৫. উঁচু স্থানে আরোহন কিংবা নিচে নামার সময় তালবিয়া পড়া।
৬. হজের সফরে ওঠা-বসা, ঘুমাতে যাওয়া, ঘুম জেগে ওঠার পর কিংবা স্বাভাবিক চলাফেরায় বেশি বেশি তালবিয়া পাঠ করা।

তালবিয়ার ফজিলত
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোনো মুসলিম যখন তালবিয়া পাঠ করে, তখন তার (তালবিয়া পাঠকারীর) ডানে ও বামে যত পাথর, গাছ ও মাটি ( আছে, এ সবই) তার সঙ্গে তালবিয়া পড়তে থাকে। এমনিভাবে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত গিয়ে তা (পড়া) শেষ হয়।’ (নাসাই: ৫৪৫) হজরত আবু বরক ছিদ্দিক (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, কোন ধরনের হজ সর্বোত্তম? তিনি বললেন, ‘উচ্চস্বরে তালবিয়া পাঠ এবং কুরবানি করা।’ (আহমদ: ৭৬৫) আরেক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমার কাছে জিবরিল আলাইহিস সালাম এসে বললেন যে, আমি যেন আমার সাহাবিদেরকে উচ্চস্বরে তালবিয়া পাঠের নির্দেশ প্রদান করি।’ (তিরমিজি)

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়