শিরোনাম
◈ হায়দার আকবর খান রনো মারা গেছেন ◈ ডোনাল্ড লু’র ছয়দিনের সফর শুরু, ভারত ও শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশ আসছেন ১৪ মে ◈ লোহাগড়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু ◈ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব পাস  ◈ জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টানা চার জয় বাংলাদেশের ◈ বন্দি ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলি বাহিনীর অমানবিক নির্যাতনের তথ্য-ছবি ফাঁস ◈ গাজার রাফাহজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা ও বোমাবর্ষণ ◈ কোনো ভর্তুকি ছাড়াই নিজস্ব আয় থেকে উড়োজাহাজের মূল্য পরিশোধ করছে বিমান ◈ আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকলে বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে: ওবায়দুল কাদের ◈ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা শেষ, এখন চলবে ফাইজার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৯ জুলাই, ২০১৮, ১০:৪৩ দুপুর
আপডেট : ২৯ জুলাই, ২০১৮, ১০:৪৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যে কারণে এভাবে গোল উদযাপন করেন মেসি

স্পোর্টস ডেস্ক : প্রতিটা গোলের পরই প্রথমে দু’হাতকে ডানা বানিয়ে পাখির মতো উড়ে বেড়ানো। এরপর দুই হাত উপরের দিকে তুলে আকাশের দিকে তাকান লিওনেল মেসি। একবার নয়, বারবার। প্রতিটা গোলের পরই। এটাই মেসির গোল উদযাপনের ট্রেডমার্ক। গোল উদযাপনের এই ভঙ্গিটাকে নিজের ব্র্যান্ড বানিয়ে ফেলেছেন বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। কিন্তু আপনি জানেন কি, মেসির এভাবে গোল উদযাপনের রহস্য? জানা না থাকলে এবার জেনে নিন। মেসির এই বিশেষ ভঙ্গির গোল উদযাপন তার স্বর্গবাসী নানির জন্য।
সেই ১৯৯৮ সালে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন তার নানি চেলিয়া অলিভিয়েরা কুচিত্তিনি। মেসি প্রতিটা গোলই উৎসর্গ করেন তার প্রয়াত নানিকে। তাই গোল করার পর এভাবে হাত-মাথা উঁচিয়ে আকাশের দিকে তাকান। যেন বলতে চান, ‘প্রিয় নানি, এই গোলটিও তোমার জন্য।’

প্রতিটা মানুষেরই জীবনে বিশেষ একজন মানুষ থাকেন। যার অনুপ্রেরণা, ভালোবাসা হয়ে উঠে জীবনের চলার পথের পাথেয়। দেয় নতুন পথের দিশা। মেসির জীবনের সেই অনুপ্রেরণাদায়ী মানুষটি তার নানি। ফূটবলপ্রেমী মাত্রই জানেন, সেই ছোট্ট বেলাতেই হরমোনজনিত রোগে আক্রান্ত হন মেসি। শরীরটা ছিল লিকলিকে, হাড্ডিসার। শরীরের আকৃতিও ছিল ছোটখাটো।
এমন ছোটখাট গড়নের রোগাক্রান্ত একটি ছেলে ফুটবলের মতো কঠোর পরিশ্রমের একটি খেলা খেলবেন, এমনটা বিশ্বাস করার লোক তখন কমই ছিল। কিন্তু চেলিয়া অলিভিয়েরা কুচিত্তিনি সব সময়ই ছোট্ট নাতিকে উৎসাহ দিতেন ফুটবল খেলতে। ছোট্ট মেসির মনোজগতে ফুটবলার হওয়ার রঙিন স্বপ্নের বীজটা বুনে দিয়েছিলেন তিনিই।

কিন্তু স্বপ্ন আঁকিয়ে দেওয়া পর্যন্তই। প্রিয় নাতির খেলা দেখার সৌভাগ্য তার হয়নি। ১৯৯৮ সালে তিনি যখন মারা যান, মেসির বয়স তখন মাত্রই ১১। নানির এঁকে দেওয়া স্বপ্ন বুকে নিয়ে ছোট্ট মেসি বার্সেলোনার যুব একাডেমীতে যোগ দেন তারপরও বছর তিনেক পর, ২০০১ সালে।
এরপর কেবলই এগিয়ে যাওয়া। সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে ধীরে ধীরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সর্বকালের অন্যতম সেরাদের কাতারে। যে নানির অনুপ্রেরণায় এতো দূর আসা, এতো সাফল্য, এমন চাকচিক্যময় জীবনের সন্ধ্যান পাওয়া, সেই নানির কথা মেসি ভুলেন কি করে! প্রতিটা গোল করার পরই তার সবার আগে মনে পড়ে পরবাসী সেই নানির কথা। প্রতিটা গোলই উৎসর্গ করেন নানিকে।
হয়তো ক্যারিয়ারের বাকি সময়টুকুতেও গোল করলে এভাবেই স্মরণ করবেন নানিকে! নানিই যে তাকে ফুটবলার বানানোর আসল কারিগর! পরিবর্তন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়