কায়কোবাদ মিলন: পাকিস্তানের নির্বাচন সর্ম্পকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কমনওয়েলথের পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, ভোট কেন্দ্রে সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হলেও তারা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করেনি এবং তারা শুধু প্রিসাইডিং অফিসারকে সহায়তা করেছে । ইইউ ও কমনওয়েলথ মিশনের প্রধানরা শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে নির্বাচনী পরিবেশের ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করেন । ব্যালট পেপার গনণার পদ্ধতি নিয়েও তারা প্রশ্ন করেন । নেতা, নির্বাচনি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক দলগুলোকে টার্গেট করে বেশ কিছৃ সহিংস ঘটনায় নির্বাচনী পরিবেশ বিঘিœত হয়েছে বলেও তারা উল্লেখ করেন । তবে বেশ কয়েকজন আলোচক বলেন, সাবেক শাসক দলের নেতাদের হামলা মামলা, ও সন্ত্রাসী হিসেবে পরিকল্পিত ভাবে হেনস্থা করা হয়েছে। তারা বলেন,বিচার বিভাগের রাজনীতিকরণে নওয়াজের মুসলিম লীগকে ক্ষতির স্বীকার হতে হয়েছে । এসকল মামলা পুনবিন্যাসের কারণে রাজনৈতিক পরিবেশের নতুন বিন্যাস ঘটেছে । পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনে সন্ত্রাসী দলগুলোর উত্থানের সমালোচনা করেন এবং এর নেতিবাচক দিক নিয়ে কথা বলেন । পর্যবেক্ষকরা বলেন, প্রচারে সব দল সমান সুযোগ পায়নি এবং সাংবাদিকরা সেলফ সেন্সরশিপ আরোপ করতে বাধ্য হয়েছেন ।
ইইউ মিশনের কর্মকর্তা বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী ভোট কেন্দ্রের ভেতরে-বাইরে যাতায়াত করলেও তারা ভোটারদের পরিচয় পত্র শনাক্ত করার কাজেই ব্যাপৃত ছিল । ভোটাররা কে কোন সারিতে দাড়িয়ে ভোট দেবে এই কাজটাই তারা করেছে ।
পর্যবেক্ষকরা বলেন, শতকরা ৫ ভাগ নারী প্রার্থীকে রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনয়ন দেয়ার কথা থাকলেও ৭.৪ ভাগ দল সে আইন অনুসরণ করেনি। পাখতুনখাওয়া ও পাঞ্জাবের ৮টি আসনে নারী ভোটাররা ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছে । জানা গেছে স্থানীয় মুরুব্বি ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে চুক্তি বলে ওই আসনগুলোতে নারী ভোটারদের নিরুৎসাহিত করা হয়েছে । মহিলা প্রার্থীদের প্রকাশ্যে দেখা যায়নি বললেই চলে। পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ৩৩ লক্ষ প্রতিবন্ধীর অস্তিত্ব থাকলেও রেজিষ্ট্রিকৃত ভোটারদের সংখ্যা মাত্র ১ লক্ষ ৬৬ হাজার । মাত্র ৩ জন প্রতিবন্ধী প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতা করেছেন । ডন
আপনার মতামত লিখুন :