সাজিয়া আক্তার : বিশ্ব মানচিত্রে যে ছোট দেশটিকে অনেকেই চিনতো না সেই দেশটিয়েই এখন সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। ঝড়ঝাপটা আর সমস্ত প্রতিবন্দকতা ডিঙিয়ে ছুটে চলা সেই দেশটি এখন বিশ্বের রোল মডেল। উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রেই যার শীর্ষনীয় সাফল্য বিস্মিত করেছে পুরো বিশ্বকে। সফলাতার স্বর্ণ শিখরে পৌছে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে জায়গা করে নেয় সেই বাংলাদেশ।
সূর্য্য উঠে, অস্ত যায়, চিরন্তন এই নিয়মের মাঝেই নতুনের উদয়। রচিত হয় নতুন এক সকাল, নতুন এক ভোর। বাংলাদেশের উঠোনেও এনেছে সেই দিন। নতুন বছরে গেল মার্চে বাংলাদেশকে এলডিসি বা স্বল্প উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পা রাখার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। এই বিশ্ব সংস্থার কাছে উন্নয়নশীল দেশের মানদন্ড অনুযায়ী একটি দেশের মাথাপিছু আয় হতে হবে ১২’শ ৩০ মার্কিন ডলার। আর সেখানে বাংলাদেশের আছে ১৬’শ ১০ মার্কিন ডলার। এই ভাবে মানব সূচকে জাতিসংঘ চায় ৬৬ পয়েন্ট, আর বাংলাদেশ অর্জন ৭৩ পয়েন্ট। এমন বাধ ভাঙা সাফল্য আরো অনেক ক্ষেত্রেই।
জাতিসংঘের এমডিজি বা সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষমাত্রার পর টেকসই উন্নয়নের দিক থেকে অনেক দেশকেই পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, আন্তর্জাতীক ফোরামে বাংলাদেশ একটি রোল মডেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এবং বাংলাদেশের সফলতার গল্পের আত্মপ্রকাশ করেছে।
দুর্নীতির প্রশ্ন তুলে যারা ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্ন ভঙ্গ করতে চেয়েছিল তারাই এখন বাংলাদেশের সাফল্যে অভিভূত। নদীকূলে হুছট খাওয়া পদ্মা সেতু এখন নিজস্ব অর্থায়নে নদীর উপর দৃশ্যমান। কূটনৈতিক সাফল্যে আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিবেশি ভারত, চীন ছাড়াও যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রের মত শক্তিশালী দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন বিশ্বাসের, বন্ধুক্তের।
সিপিএ, আইপিইউ কিংবা ওআইসির মত আন্তর্জাতীক সম্মেলন আয়জনের মধ্যদিয়ে নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করেছেন বাংলাদেশ। বিভিন্ন আঞ্চলিক জোটের বাংলাদেশের ভূমিকা এখন নিতি নির্ধারনী পর্যায়ে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির বলেন, ঢাকাকে এখন দক্ষিণ এশিয়ার রোল মডেল বলা হয়। এখন শুধু দক্ষিণ এশিয়া না সার্বয়িকভাবে পৃথিবীতে মধ্যপ্রাচ্যের আফ্রিকা, ইউরোপে ও সব জায়গায়।
বাংলাদেশির শ্রম আর ঘামে অর্থনৈতি গড়ছে বিশ্বের ৬৫ দেশ। নানাভাবে না পথে দিগন্ত থেকে দিগন্তে উড়ছে লাল সবুজের পতাকা। মৃত্তিকা থেকে মহাকাশে ঘুরছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। মৃত্যুমুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ঠায় দিয়ে সারা বিশ্বে নন্দিত হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ।
জাতিসংঘ মহাসচিব থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র নায়কেরা বাংলাদেশকে দিয়ে গেছে এক অনুন্য স্বীকৃতি।
ঝড়ঝাপ্টা আর নানা বিপর্যয় পেরিয়ে কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয় তা দেখিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের মানুষ। আর সে কারণেই উন্নয়নের মহাযাত্রায় বাংলাদেশ এখন সমগ্র বিশ্বের বিশ্বয়।
সূত্র : নিউজ ২৪ টেলিভিশন
আপনার মতামত লিখুন :