শিরোনাম
◈ জুলাই অভ্যুত্থানের সেই ঐক্য কোথায়? ◈ ব্রিটিশদের ‘নাকানিচুবানি’ দিতে ইরানের এক দশকের ‘ছায়া যুদ্ধ’: যেভাবে চলছে যুক্তরাজ্যের ভেতরে গোপন তৎপরতা ◈ চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত, আরও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ◈ এবার অঝোরে কাঁদলেন মিসাইল ম্যান কিম জং উন (ভিডিও) ◈ জুলাই নিয়ে ‘আপত্তিকর’ ফেসবুক পোস্ট: পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রদের অবরোধ-বিক্ষোভ ◈ নতুন উচ্চতায় রেমিট্যান্স: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের সর্বোচ্চ প্রবাহ ◈ ডলারের দরপতনে রেকর্ড, ১৯৭৩ সালের পর সবচেয়ে বড় পতনে বিশ্ববাজারে আস্থার সংকট ◈ “৭১-এর মুক্তিযোদ্ধাদের মতোই চব্বিশের যোদ্ধাদেরও জাতি ভুলবে না” — তারেক রহমান ◈ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান খালেদা জিয়ার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে বুধবার  সি‌রি‌জের প্রথম ওয়ানডে ম‌্যা‌চে  মু‌খোমু‌খি  বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ২৬ জুন, ২০১৮, ০৭:৪৭ সকাল
আপডেট : ২৬ জুন, ২০১৮, ০৭:৪৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মরক্কো সাথে ড্র করলো স্পেন

কেএম হোসাইন :   হারের তার প্রান্ত থেকে স্পেনকে বাঁচালো অতিরিক্ত সময়ে ইয়াগো আসপাসের গোলে। ২-২ গোলে স্পেনের সাথে ড্র করলো মরক্কো। সেই সাথে স্পেন গ্রুপ চ্যাম্পিয়ান হয় নক আউট পর্বে গেল।

প্রথম ম্যাচেই পর্তুগালের সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করে বিশ্বকাপের শুরুতে নিজেদের পথচলাটা কঠিন করে ফেলে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেন। যদিও পরের ম্যাচে ইরানের বিপক্ষে দিয়েগো কস্তার একমাত্র গোলে নিজেদের বিশ্বকাপে টিকিয়ে রাখে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তারা। মরক্কোকে হারাতে পারলে কিংবা ড্র করলেও দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয়ে যাবে স্পেনের।

কালিনিনগ্রাদে শুরু থেকেই প্রভাব বিস্তার করে খেলতে থাকে স্পেন। আক্রমণের পর আক্রমণ। মুহুর্মুহু আক্রমণে ব্যস্ত রাখে মরক্কোর রক্ষণভাগ। কিন্তু ১৪ মিনিটেই ধারার বিপরীতে গোল খেয়ে বসে স্পেন। যদিও ১৯ মিনিটে সেই গোল শোধ করে কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

খেলার ১৪ মিনিটেই ডিফেন্ডারদের অমার্জনীয় ভুলে গোল খেয়ে বসে স্পেন। ম্যাচের শুরুতেই বলতে গেলে ব্যাকফুটে। অথচ, তখনও পর্যন্ত ৭৫ ভাগ বল পজেশন ছিল স্পেনের দখলে। মাঝ মাঠে সার্জিও রামোসের কাছ থেকে বল কেড়ে নেন খালিদ বোতাইব। সামনে আর কেউ নেই।

বোতাইবের গতির সঙ্গেও যেন কেউ পেরে ওঠার জো নেই। উসাইন বোল্টের চেয়েও বেশি গতিময় হয়ে উঠেছেন তিনি। সামনে শুধু গোলরক্ষক ডি গিয়া। পেছন পেছন জেরার্ড পিকে দৌড়ে এলেন। কিন্তু পৌঁছাতে পারলেন না। বোতাইব নিলেন বুদ্ধিদীপ্ত শট। ডি গিয়ার দুই পায়ের ফাঁক গলে সোজা বল জড়িয়ে গেল স্পেনের জালে।

গোল হজম করার পর সেটা শোধ করতে বেশি সময় নিলে না স্পেন। ১৯তম মিনিটে টিপিক্যাল স্প্যানিশ আক্রমণ। ইসকো আর ইনিয়েস্তার সম্মিলিত প্রচেষ্টা। কিন্তু ডি বক্সের মধ্যে একেবারে পোস্টের সামনে মরক্কোর পার্ক করা বাস ফাঁকি দিয়ে গোলের বলটি অসাধারণভাবে বানিয়ে দিলেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা।

গোলের বাম পাশ থেকে হালকা ব্যাকপাস ছিল ইনিয়েস্তার। পোস্টের সামনে পেয়ে যান ইসকো। বলটি থামিয়ে ডান পায়ের দারুণ এক প্লেসিং শর্ট। সঙ্গে সঙ্গেই জড়িয়ে গেল জালে। ১-১ সমতায় ফিরলো স্পেন।

প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে, ইনজুরি সময়ের ২য় মিনিটে গোলের দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন দিয়েগো কস্তা। কিন্তু পোস্টের সামনে তিনি শুধু বলে পা লাগাতে ব্যর্থ হলেন। না হয়, প্রথমার্ধেই এগিয়ে যেতে পারতো স্প্যানিশরা।

দুই দফা এগিয়ে গিয়েছিল মরক্কো। তবে স্প্যানিশ ফুটবলের সামনে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি তারা। শেষ মুহূর্তের গোলে ২-২ গোলের ড্র করে বিশ্বকাপ মিশন শেষ হয়েছে তাদের। অন্যদিকে এই ইনজুরি টাইমের গোলেই পর্তুগালের কপাল পুড়িয়েছে ইরান। শেষ মুহূর্তের পেনাল্টিতে গোল হজম করে গ্রুপসেরা হতে পারেনি ইউরো চ্যাম্পিয়নরা। ১-১ গোলের ড্রতে স্পেনের সমান ৫ পয়েন্ট হওয়ার পরও গ্রুপ পর্বে কম গোল করায় দ্বিতীয় হয়ে যেতে হয়েছে পরের রাউন্ডে।

গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল স্পেন, আর মরক্কো ছিল রক্ষণাত্মক। অতিমাত্রায় আক্রমণাত্মত হওয়ার খেসারত দিতে হয় স্প্যানিশদের ১৪তম মিনিটে। আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ও সের্হিয়ো রামোসের ভুল বুঝাবুঝির পুরো ফায়দা তুলে নেন খালিদ বুতাইব। ইনিয়েস্তা ও রামোস দুজন দুজনের জন্য ছেড়ে দেন বল। মাঝখান থেকে খালিদ বল নিয়ে চলে যান ফাঁকা রক্ষণের দিকে, সামনে ছিলেন কেবল গোলরক্ষক দাভিদ দে গেয়া। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড স্টপার ঠেকাতে পারেননি গোল। তার দুই পায়ের মাঝখান দিয়ে বল জালে জড়িয়ে মরক্কোকে উৎসবে ভাসান খালিদ।
ম্যাচে ফিরতে অবশ্য সময় লাগেনি স্পেনের। মিনিট পাঁচেক পরই তারা সমতায় ফেরে ইসকোর লক্ষ্যভেদে। ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করেন ইনিয়েস্তা। তার বাড়ানো চমৎকার ক্রস থেকেই হেডে লক্ষ্যভেদ করেন রিয়াল মাদ্রিদ উইঙ্গার।
এরপর প্রথমার্ধেই এগিয়ে যাওয়ার বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছে স্পেন। কিন্তু সুযোগ নষ্টে কাজে লাগাতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধেও পারফরম্যান্সের ধারা সচল রেখে লিড নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে, কিন্তু ফিনিশিংয়ের অভাবে গোল পায়নি। ডিয়েগো কোস্তা পা চালিয়েও বল জালে জড়াতে পারেনি। ইসকোর হেড একেবারে গোল লাইন থেকে ঠেকিয়ে দিয়েছেন মরক্কোর এক ডিফেন্ডার। পিকের হেড পোস্টে বাতাস লাগিয়ে চলে গেছে। স্প্যানিশদের এই সুযোগ নষ্টের মিছিলে মরক্কো ঠিকই কাজের কাজ করে দেয় ৮১ মিনিটে। হেড থেকে দুর্দান্ত গোল করে আফ্রিকার দেশটিকে এগিয়ে নেন ইউসেফ এন নেসিরি।
তবে শেষ মুহূর্তে ইয়গো আসপাসের গোলে ড্র করে মাঠ ছাড়ে স্পেন। ইনজুরি টাইমের প্রথম মিনিটে বুটের নিচের অংশ দিয়ে অনেকট ব্যাকহিলের মতো করে বল জালে জড়িয়ে স্পেনকে গুরুত্বপূর্ণ ১ পয়েন্ট এনে দেন।  গোলটি অবশ্য এসেছেভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) সাহায্যে।  মাঠে থাকা রেফারি অফসাইডের বাঁশি বাজালেও ভিএআর তা গোলের ঘোষণা দেয়। এই গোলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিশ্চিত হয় স্পেনের।
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়