সাজিয়া আক্তার : খুলনার মহানগরীর অধিকাংশ ড্রেনই পরিষ্কার করা হয় না। পানি নিষ্কাশনের খালগুলোর অবৈধ দখল উচ্ছেদ হয়নি এখনো। ফলে বর্ষায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছে নগরবাসী। যদিও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদসহ জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ চলছে।
খুলনার মহানগরীর অধিকাংশ খালের বেহাল অবস্থা। খালে অবৈধ দখল আর নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার না করায় বর্ষা মৌসুমে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা।
মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে রনয় খুলনা সিটি করপোরেশন। ২০১৩ সালের মে থেকে শুরু হওয়া কাজ শেষ হয় ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে। প্রকল্পের আওতায় ময়ূরসহ দুইটি নদী ও ১১টি খাল ড্রেজিং এবং পুন:নির্মাণ করা হয় ৭ কিলোমিটার ড্রেন। কিন্তু আবারো ভরাট হয়ে গেছে ময়ূর নদী ও বেশিরভাগ খাল। পানি নিষ্কাসনের ২২টি খালের অবৈধ দখনও উচ্ছেদ হয়নি।
আরো পড়ুন : ৬৯ বছরের মধ্যে ৪৯ বছরই বিরোধী দলে
খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি মহাসচিব শেখ আশরাফ উজ জামান বলেন, শতাধিক খাল ছিল, সেই খালগুলো সংকোচিত হতে হতে যেটা ২৬ ফুট ছিল সেটা ৬ থেকে ৭ ফুটে পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে।
খুলনা সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির বলেন, আমাদের এই ২২টি খাল অবমুক্ত করার কাজগুলো এখনো সম্পন্ন করা হয়নি, এটাই এখন মূল সমস্যা।
ময়লা আবর্জনায় ভরাট হয়ে রয়েছে নগরের অসংখ্য ড্রেন। ফলে সামান্ন বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় সড়ক। যদিও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন ড্রেন পরিষ্কার ও খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদসহ জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছেন তারা।
আরো পড়ুন : বর্ধিতসভার পর চাঙ্গা হয়েছেন আ.লীগ নেতাকর্মীরা
খুলনায় ৩১টি ওয়ার্ডের ১হাজার ২০৫ কিলোমিটার যা পরিষ্কারের জন্য শ্রমিক কর্মচারী আছেন ২৬০জন।
সূত্র : চ্যানেল ২৪ টেলিভিশন
আরো পড়ুন : গাজীপুরের পুলিশ সুপারের বদলি চায় বিএনপি
আরো পড়ুন : ৬৯ বছরের মধ্যে ৪৯ বছরই বিরোধী দলে