আবুল বাশার নূরু: আওয়ামী লীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আয়োজিত বিশেষ বর্ধিতসভায় পর দলটির তৃর্ণমূল নেতাকর্মীরা চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গাজীপুর, রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে এই বর্ধিতসভা অনেকটা টনিক হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করছেন দলটি শীর্ষ একাধিক নেতা। গত ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে দলটির নবনির্মিত কেন্দ্রীয় কার্যালয় উদ্ভোধন করে গণভবনে তৃর্ণমূল নেতাকর্মীর নিয়ে বিশেষ বর্ধিতসভা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা জানান, দলীয় অনেক এমপির বিরুদ্ধে তৃর্ণমূল নেতাকর্মীদের অভিযোগ ও ক্ষোভ ছিল। দলীয় প্রধানের কাছে সেগুলো প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু শেখ হাসিনার বক্তব্যে তৃর্ণমূল নেতাকর্মীরা স্বান্তনা খুঁজে পেয়েছেন। খুশি মনে তারা বাড়ি ফিরে গেছেন। আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপিদের সঙ্গে আগামীতে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে যে বিরোধ চলছে এবং দলীয় নেতাকর্মীদের যে বিভক্তি তা এই বর্ধিতসভার পর অনেকটাই নিরশন হবে।
আরো পড়ুন : গাজীপুরের পুলিশ সুপারের বদলি চায় বিএনপি
দলের দূর্দিনের ত্যাগী নেতাকর্মীদের যে সব এমপি অবহেলা করেছেন ও অমূল্যায়ন করেছেন তাদের আগামীতে মনোনয়ন দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন শেখ হাসিনা। বিএনপির বিরুদ্ধে কথা না বলে যে সব মনোনয়নপ্রত্যাশী আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলছেন তাদের নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেশের ব্যাপক উন্নয়ন করেছে যা অতীতে আর কেউ করেনি। এর পরও যদি আগামীতে আওয়ামী লীগ ভোট না পায় সেজন্য দলটির তৃর্ণমূল নেতাকর্মীরাও দায় এড়াতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেছেন শেখ হাসিনা। সরকারের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকা- সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে বোঝানো, জঙ্গিবাদ, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মানুষকে সজাগ করতে তৃর্ণমূল নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
আরো পড়ুন : ৬৯ বছরের মধ্যে ৪৯ বছরই বিরোধী দলে
আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক এই প্রতিবেদককে বলেন, তৃর্ণমূল নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের মূল শক্তি। তারা বরাবরই শেখ হাসিনার ওপর আস্থাশীল। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আয়োজিত বিশেষ বর্ধিতসভায় শেখ হাসিনার বক্তব্যে তৃর্ণমূল নেতাকর্মীরা আরও চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হওয়ার ক্ষেত্রে এই বর্ধিতসভা টনিক হিসেবে কাজ করবে।
আরো পড়ুন : ২১০ জনকে গ্রেফতার করা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত : জামায়াত