অঙ্গরাজ্যটির অ্যাটর্নি জেনারেল বারবারা আন্ডারউড বৃহস্পতিবার ম্যানহাটনের নিউ ইয়র্ক সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি করেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
‘বেআইনী রাজনৈতিক সমন্বয়ের’ মাধ্যমে দাতব্য ট্রাম্প ফাউন্ডেশন ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রভাব রেখেছিল বলে অভিযোগ আন্ডারউডের।
মামলায় প্রতিষ্ঠানটির বিলুপ্তির পাশাপাশি ২৮ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণও চাওয়া হয়েছে।
নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেলের করা এ মামলার সব অভিযোগ অস্বীকার করে ট্রাম্প ফাউন্ডেশন একে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছে।
টুইটারে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টও।
“নিউ ইয়র্কের নোংরা ডেমোক্রেটরা আমাকে মামলায় জড়াতে সবকিছু করছে,” অভিযোগ ট্রাম্পের। মীমাংসার মাধ্যমে মামলাটির সমাপ্তি টানা হবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্পের ৭২তম জন্মদিনে করা ডেমোক্রেট পার্টির সদস্য আন্ডারউডের এ মামলায় প্রেসিডেন্ট ও তার তিন সন্তান ডোনাল্ড জুনিয়র, এরিক ও ইভাঙ্কাকে নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক যে কোনো দাতব্য সংস্থার পরিচালক পদে থাকার অযোগ্য ঘোষণা করতেও আবেদন জানানো হয়েছে।
অলাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলোকে মেনে চলতে হয় এমন আইন ভঙ্গের পাশাপাশি নিজেদের মধ্যে লেনদেনের মাধ্যমে এ চারজন ফাউন্ডেশনকে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের সমন্বয়ে বেআইনীভাবে কাজে লাগিয়েছেন বলে অভিযোগ নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেলের।
ফাউন্ডেশনের নাম ও উত্তোলিত অর্থ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় ব্যবহারে ট্রাম্প নিজেই নির্দেশনা দিয়েছিলেন বলেও পরে এক বিবৃতিতে দাবি করেন আন্ডারউড।
দাতব্য এ সংস্থাটির সম্পদ দিয়ে ট্রাম্প আইনী খরচ মেটানো, ব্যবসার উন্নতি ও বেশকিছু ব্যক্তিগত জিনিস কিনেছিলেন বলেও অভিযোগ তার।
ট্রাম্প ফাউন্ডেশনের টাকা দিয়ে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট যেসব জিনিস নিজের জন্য কিনেছিলেন তার মধ্যে একটি পেইন্টিংও আছে বলে ভাষ্য নিউ ইয়র্ক অ্যাটর্নির।
অঙ্গরাজ্যটির আগের অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক স্নেইডারম্যানের নির্দেশে দুই বছরের তদন্ত শেষে মামলাটি হয় বলে দাবি আন্ডারউডের। সাবেক প্রেমিকাদের শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন, এমন অভিযোগ ওঠায় গত মাসে স্নেইডারম্যান পদত্যাগ করলে আন্ডারউড তার স্থলাভিষিক্ত হন।
সঠিকভাবে নিবন্ধিত না হওয়ায় ২০১৬ সালের অক্টোবরে নিউ ইয়র্ক থেকে টাকা তোলা বন্ধ করতে ট্রাম্প ফাউন্ডেশনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন স্নেইডারম্যান।
‘স্বার্থের সংঘাতের’ ছায়া এড়াতে সেসময়কার রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প ২০১৬-র ডিসেম্বরের মধ্যে দাতব্য সংস্থাটি বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। যদিও তদন্ত শেষের আগে দাতব্য প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের সুযোগ নেই বলে পরের মাসে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তরের এক মুখপাত্র জানিয়েছিলেন। সূত্র : বিডিনিউজ
আপনার মতামত লিখুন :