মনজুর আহমেদ অনিক,নারায়ণগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জে জালজালিয়াতির ও প্রতারনা চক্রের নারী সদস্যসহ ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন, আঃ সাত্তার, বজলুর রহমান, বিলকিছ, রফিকুল ও মফিজুল। শুক্রবার রাতে মৌচাক এলাকা থেকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। শনিবার গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠালে আদালত জেল হাজতে প্রেরণ করে বলে জানায় পুলিশ।
জানাগেছে, ১লা জানুয়ারী ১৬ সালে সিদ্ধিরগঞ্জ খোদ্দঘোর্ষ মৌজায় মৌচাক এলাকায় আঃসাত্তার গংরা ৪ শতাশং জমি ২৫ লাখ টাকায় সোহরাব হোসেনের কাছে বিক্রয় করে। বায়না বাবত ১৫ লাখ টাকা নেয় ৩টি নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে। পরে উক্ত স্থানে ব্যবসার উদ্যোশে স্থাপনা তৈরি করে ব্যবসা করে আসছিলে বায়না সূত্রে মালিক সোহরাব হোসেন। সাম্প্রতিক প্রতারক সাত্তার গং ও বজলুর রহমান ও বিলকিছ গংরা স্থাপনা স্থলে জমি তাদের বলে দাবি করে। এনিয়ে সামাজিক ভাবে বিচার শালিশি করলে উপস্থিত সমাজের গন্যমান্যরা আমার বায়না ১৫ লাখ টাকা প্রতারক দের দিতে বলে তারা বিচার মানেনা বলে চলে যায়। পরে তাদের কাছে টাকা চাইতে গেলে সোহরাব হোসেনকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং উল্টো তার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা জিডি করে । এবিষয়ে প্রতারনার শিকার সোহরাব হোসেন টাকা ফেরত ও প্রতারনা কারিদের বিরোদ্ধে বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা করেছে যার নং ৩৬৪/১৮ইং। এ মামলায় আদালত প্রতারক চক্রের ৬ সদস্যর বিরোদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন।
এ বিষয়ে সোহরাব হোসেন বলেন, আমার সাথে প্রতারনা করা হয়েছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে জালিয়াতির,প্রতারক সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা কারী ঠকবাজ আঃ সাত্তার গং ও বজলুর রহমান ও বিলকিছ গংরা টাকা মেরে খাওয়ার এ প্রতারনার কাজ করেছে। আমি টাকা চাইতে গেলে তারা হুমকি দেয় প্রানে মেরে ফলবে। তাই আদালতে মামলা করেছি।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এস আই রেজাউল করিম বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরোদ্ধে ওয়ারেন্ট থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতে পাঠানো হলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরন করেন বলে জানায় তিনি।