জান্নাতুল ফেরদৌসী : সড়ক বিভাজনের বড় গাছগুলো রাজধানীবাসীর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জসীম উদ্দিন বলেছেন, বট, আম কৃষ্ণচূড়াসহ বৃক্ষপ্রজাতির গাছ না লাগিয়ে, ঝোপ, গুল্ম, লতা ও ফুল জাতীয় গাছ রোপন করতে হবে।
নগরীর সৌন্দর্য বাড়াতে সংসদ ভবনের পূর্ব দিকের সড়ক বিভাজনে বট গাছ লাগিয়েছে সিটি করপরেশন। ডিভাইডারগুলোর দুই-আড়াই ফুট জায়গাতে লাগানো হয়েছে বকুল, কড়ই, কৃষ্ণচূড়া, মেহগনি, আম, তাল, জাম, খেজুরসহ এমন বৃক্ষ প্রজাতির নানা গাছ। এসব গাছই এখন নাগরিক দুর্ভোগের কারণ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জসীম উদ্দিন বলেন, ছোট ছোট গাছ যেগুলো শুধু ফুল দিয়ে থাকে, বেশি বড় হয় না সেগুলো লাগাতে পারি। বট, জাম, মেহেগনি গাছ অবশ্যই ক্ষতির কারণ। বড় গাছ লাগানো পরিকল্পনা যারা করে তাদের ভেতরে রাইটস পারসনস ছিল কিনা না, আমার সন্দেহ।
নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, গাছ লাগানোর কর্তৃত্ব যদিও সিটি করপোরেশনের। এটি এখন প্রাইভেট সেক্টরের মধ্যে ঢুকে যত্রতত্র যে কোনো ধরনের গাছ লাগিয়ে বিপদজনক অবস্থা তৈরি করেছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিলাল বলছে, আগে ভুল পরিকল্পনায় গাছ লাগানো হলেও এখন গুল্ম জাতীয় গাছ রোপন করা হচ্ছে। অতীতে লাগানো হয়েছিল। কিন্তু এখন বড় গাছগুলো যদি কেটে ফেলি তাহলেও বিপদজনক অবস্থা সৃষ্টি হবে।
এবছর কাল বৈশাখী ঝড়ে নগরজুড়ে প্রায় পাঁচশ গাছ ভেঙ্গেছে। এর বেশির ভাগই সড়ক বিভাজন ও ফুটপাতের। এসব বড় গাছ থেকে যে কোনো সময় বৈদ্যুতিক বা সড়ক দুর্ঘটনার শঙ্কা করছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা। সূত্র: ইন্ডিপেনডেন্ট টিভি