মাসুদ মিয়া: আর দুইদিন বাদে পবিত্র শবে বরাত। রমজান মাস আসতে এখনো আরও ১৮দিন বাকি আছে তার আগেই নিত্যপণ্যের বাজারে প্রভাব পড়েছে। চিনি ছাড়া প্রায় সব পণ্য দাম কমবেশি বেড়েছে। এর মধ্যে রোববারের বৃষ্টি এই ঊধ্বমুখী বাজারকে আরও একটু উসকে দিয়েছে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
রোববার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা গেছে, রমজানে ইফতারে প্রয়োজন হয়, এমন সবজি বা কাঁচামালের দাম বেড়েছে ব্যাপকভাবে। এর মধ্যে বেগুন, পেঁপে, ছোলা, পেঁয়াজ, রসুনের দাম বেড়েছে। তবে মাছ ও ডিমসহ কিছু পণ্যের দাম এখনও আগের মতোই আছে। রাজধানীর মিরপুরের পিরেররাগ বাজারের বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই পাইকারি বাজারে সব পণ্যের দাম বেড়েছে। পেঁয়াজ, রসুনের দাস গত সপ্তাহের চেয়ে পাইকারি বাজারে ২ থেকে ৪ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া কাঁচামালের দামও বাড়তি।
তিনি বলেন, শবে বরাতের পর রোজাকে কেন্দ্র করে এই দাম বাড়তে পারে। তবে রোববার যে বৃষ্টি হয়েছে, তাতে অনেক বাজারে কাঁচামাল প্রবেশ করতেই পারেনি। বাজার ঘুরে দেখা যায়, রমজানে প্রয়োজনীয় প্রধান পণ্যগুলোর দাম হঠাৎ করে বেড়ে গেছে। এসব পণ্যের দাম কেজিতে ৮-১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
এর মধ্যে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৮ টাকা। ছোলাও বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১০ টাকা বেশি দরে। একই সঙ্গে, অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে বেগুনের দাম ৩০ টাকার বেগুন ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা বিক্রয় হচ্ছে। কাচা পেঁপের দাম। গত সপ্তাহে ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া এই সবজিটির দাম এক লাফে ৪০ টাকায় পৌঁছেছে।
পিরেরবাগ বাজার করতে আসা ফিরোজ বলেন, গত সপ্তাহে ৩০ টাকায় পেঁয়াজ কেনা গেছে। অথচ এখন তা কিনতে হচ্ছে ৪০ টাকায়। শবে বরাত কিংবা রোজা এলেই ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেয়। আমরাও কিনতে বাধ্য।
পেঁপের পাশাপাশি এখন দামি সবজির তালিকায় রয়েছে বেগুন ও কাকরল। আগের সপ্তাহে ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া বেগুনের দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে ৬০-৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।তবে দাম বেড়েছে গাজরের। গত সপ্তাহে ২৫-৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া গাজরের দাম বেড়ে ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল শাক, সবুজ ডাটা শাক, পাট শাক, কলমি শাক আগের সপ্তাহের মতো ৫-১০ টাকা আটি বিক্রি হচ্ছে। পুঁইশাক বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে লাউ শাক। আর নতুন আসা মুলা শাক বিকি হচ্ছে ১০ টাকা আটি।
এদিকে বাজারে স্থির রয়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর চালের বাজার স্থির বলছেন বিক্রেতারা। মিনিকেট ৬২ টাকা, আটাশ ৪২ থেকে ৪৩ টাকা, স্বর্ণা ৪০, নাজির ৫৪ টাকা, কাটারিভোগ ৭২ থেকে ৭৬ ও চিনিগুঁড়া চাল ৭৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১১ লাখ ৬৯ হাজার টন ভোজ্য তেল, ১৩ লাখ ৭ হাজার টন চিনি, ১ লাখ ৩০ হাজার টন মসুর ডাল, ৪ লাখ ২৭ হাজার টন পেঁয়াজ ও ২ লাখ ৪৭ হাজার টন ছোলা আমদানি হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :