রবিন আকরাম : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি এলাকার বেশ কিছু গাছে আরবি হরফে ‘আল্লাহু’ লেখা হয়েছে, যা নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন ঢাবির আরবি সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক মোঃ আবদুল কাদির।
শুক্রবার হাই কোর্ট মোড় থেকে বঙ্গবাজার যাওয়ার সড়কের পশ্চিম পাশের (ফজলুল হক হল সংলগ্ন) গাছগুলোতে আরবিতে বড় করে ‘আল্লাহু’ লেখা দেখা যায়।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আবদুল কাদির বলেন, এ ধরনের অরক্ষিত স্থানে ‘আল্লাহর’ নাম লেখার কোনো যৌক্তিকতা আমি দেখছি না। কে লিখেছে, কারা লিখেছে এবং কোন উদ্দেশ্যে লিখেছে খোঁজ নেওয়া প্রয়োজন। আল্লাহর নাম থাকবে পবিত্রতম স্থানে। যেটা করা হয়েছে সেটা আমি আল্লাহর নামের সাথে বেয়াদবি বলে মনে করি।
এদিকে, ক্যাম্পাসের গাছে কারা ‘আল্লাহু’ লিখেছে সে বিষয়ে অবগত নন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা।
কবি সুফিয়া কামাল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিতা রিজওয়ানা রহমান বলেন, গত দুই দিন ধরে এ ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। কারা করেছে, কেন করেছে সেটা জানতে পারিনি। বিষয়টি দেখার সঙ্গে সঙ্গে আমি সিটি করপোরেশনের লোকজনকে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফজলুল হক হলের আবাসিক শিক্ষক ও উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোঃ জসীম উদ্দিন বলেন, এই লেখা স্পর্শকাতর। কে বা কারা এটা লিখল, তা খতিয়ে দেখতে হবে। এর পেছনে কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না তা না জেনে মন্তব্য করা মুশকিল।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, যত্রতত্র মূত্রত্যাগ ঠেকাতে গত বছর মে মাসে ঢাকার ফুটপাতে আরবি হরফে ‘এখানে প্রস্রাব করা নিষেধ’ লেখা টাঙানো শুরু করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। নয়াদিগন্ত