জান্নাতুল ফেরদৌসী: সাতক্ষীরা-৪ আসন নির্বাচন শ্যামনগর উপজেলা বিএনপি যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট আশেক-ই-এলাহী মুন্না বলেন, ঠিক মতো প্রচার প্রচারণা চালাতে না পারলেও আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় লাভ করে বিএনপিকে এই আসনটা উপহার দিতে পারবো।
সাতক্ষীরা চার আসনে ৪ লাখ দেড় হাজার ভোটারের মধ্যে এক লাখ ৯৮ হাজার নারী। স্থানীয় রাজনীতিতে আধিপত্য থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে না জামায়াত। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে ভোটের হাওয়া বইতে শুরু করলেও গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছে বিএনপি। তবু জোটগতভাবেই নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি। তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী হওয়ায় জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী দলটি। আসনটি নিজেদের দখলে রাখতে মরিয়া মহাজোটের প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি। তবে ভোটাররা বলছেন, যোগ্য ব্যক্তিকেই বেছে নেবেন তারা।
কালীগঞ্জের ৮টি ইউনিয়ন ও শ্যামনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত সাতক্ষীরা-৪ আসন। ২০০১ সালের নির্বাচনে চারদলীয় জোটের হয়ে নির্বাচিত হন জামায়াতের প্রার্থী। এরপর ২০০৮ সালে মহাজোটের হয়ে জাতীয় পার্টি এবং সবশেষ নির্বাচনে জয় পায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলা বিএনপি যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট আশেক-ই-এলাহী মুন্না বলেন, আমরা ঠিক মত প্রচার প্রচারণা চালাতে পারছি না। তবে আগামী নির্বাচনে জয় লাভ করে বিএনপিকে এই আসনটা উপহার দিতে পারবো।
সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আতাউল হক দোলন বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে আ.লীগ যাকেই মনোনয়ন দিক। আমরা তার হয়েই কাজ করবো।
জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সাত্তার মোড়ল বলেন, শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের অনুপস্থিতিতে আগামী নির্বাচনে আশা করি প্রচুর ভোটে জয়লাভ করবো।