শিরোনাম
◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয়

প্রকাশিত : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৮:২৯ সকাল
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৮:২৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সংসার এখন তাদের কাঁধে

ডেস্ক রিপোর্ট : দু’জনেরই ইচ্ছে স্বচ্ছল পরিবারের শিশুদের মতো স্কুলে যেতে। ওরা নতুন জামা পরতে চায়। মাছ-মাংস দিয়ে ভাত খেতে চায়। কিন্তু দারিদ্র্যের কারণে সেই ইচ্ছেগুলো শুধু ইচ্ছেই রয়ে গেছে। একসময় স্কুলে পড়লেও এখন অভাবের সংসারে তাদেরও টাকা উপার্জনের জন্য নামতে হয়েছে পথে। পান ও সিগারেটের বাক্স ঘাড়ে ঝুলিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করতে হয় তাদের।

একজনের নাম মোহাম্মদ রাশেদ। বয়স ১১ বছর। বাড়ি রংপুরের চিলমারীতে হলেও বর্তমানে ঢাকার রায়েরবাজার বস্তিতে থাকে। চার ভাই এক বোনের মধ্যে সবার ছোট রাশেদ। বাবা সুন্দর আলীও পেশায় পান ও সিগারেট বিক্রেতা। মা লাভলী আকতার বাসাবাড়িতে কাজ করে।

আরেকজনের নাম আব্দুল হামিদ। বয়স ১০ বছর। বাড়ি বরিশালের গৌরনদী এলাকায় হলেও বর্তমানে রায়েরবাজার বস্তিতে থাকে। তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট সে। বাবা হায়দার আলীও পান-সিগারেট বিক্রি করে। মা মিনারা বেগম গৃহিণী।

সম্প্রতি এই দুই খুদে পান-সিগারেট বিক্রেতার সঙ্গে কথা হয় রাজধানীর ধানমন্ডি ১৫ নম্বর এলাকায়। তারা জানায় নিজেদের জীবনের গল্প। রাশেদ দুই মাস হলো এ পেশায় এসেছে। রংপুরে একটি স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত সে পড়েছে। ঢাকায় আসার পর গত এক বছর লেখাপড়া বন্ধ। পরিবারে অভাবের কারণে বাবা-মা তাকে এখানে নিয়ে এসেছে। আগে ছোট বোনকে সে দেখে রাখত। এখন বোন একটু বড় হওয়ায় সেও পান-সিগারেট বিক্রি করতে রাস্তায় নেমেছে।

রাশেদ জানায়, ‘ঘাড়ে করে পান-সিগারেটের ঝুলি নিয়ে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করতে কষ্ট হয়। ঘাড় ব্যথা করে। পান-সিগারেট বিক্রি করে প্রতিদিন ৫০০ টাকার মতো লাভ হয়। সব টাকা আব্বাকে দিয়ে দিতে হয়।’ ইচ্ছের কথা জানতে চাইলে সে বলে, ‘আবারো স্কুলে যেতে আমার মন চায়। পড়ালেখা করে মাস্টার হওয়ার ইচ্ছে আমার। মা বলেছে, আমারে স্কুলে আবার ভর্তি করাই দিবে।’

আব্দুল হামিদ জানায়, বরিশালে সে তৃতীয় শ্রেণীতে একটি স্কুলে পড়তো। পরে পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় চলে আসতে হয়েছে তাকে। এখন তিন মাস ধরে এ পেশায় সে রয়েছে। তাকে প্রতিদিন সকাল ৭টার দিকে বের হতে হয়। ঘরে ফিরতে ফিরতে রাত ১০টা। ‘মুই তো দামি দামি পান-সিগারেট বিক্রি করি না। মোর লাভও কম হয়। মুই গোল্ডলিপ আর ব্যানসন বিক্রি করি। দিনে ৩০০-৪০০ টাকা লাভ হয়’ এমনটিই বলছিল হামিদ। তার ইচ্ছের কথা জানতে চাইলে সে বলে, ‘মুই বড় হয়ে ড্রাইভার হইবার চাই। বড় বড় গাড়ি চালামু। টাকা ইনকাম করমু। আর প্রতিদিন মাছ-মাংস দিয়ে ভাতও খামু।’ রাইজিংবিডি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়