শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৪:২৪ সকাল
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৪:২৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করা রাষ্ট্রের কর্তব্য

রাজেকুজ্জামান রতন : জাতীয়করণের জন্য শিক্ষকদের যে আন্দোলটি চলছে, এর একটা নৈতিক ভিত্তি আছে। আর সরকারের একটা অর্থনৈতিক দায়িত্ব আছে। শিক্ষা সব সময় হতে হবে গণতান্ত্রিক। শিক্ষা হতে হবে সার্বজনীন। শিক্ষা আমাদের বৈষম্যমুক্ত একটি সমাজের স্বপ্ন দেখায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যদি বৈষম্য থাকে, তাহলে ছাত্র-ছাত্রীরা জীবনের শুরুতেই বুঝে গেল তাদের জীবনটা বৈষম্যের মধ্যে। কেউ সরকারি, কেউ বেসরকারি। যাদের টাকা আছে, তাদের শিক্ষা আছে। শিক্ষা হয়ে গেছে পণ্য। যাদের টাকা আছে তাদের ছেলে মেয়েরাই শুধু পড়ালেখা করতে পারবে।

শিক্ষকদেরকে যদি নির্ভরশীল করে ফেলা হয় যে, ছাত্রদের বেতন থেকেই তাদের জীবিকা চলবে, তাহলে শিক্ষক শিক্ষাদানের পরিবর্তে বিক্রি করতেই উদ্বুদ্ধ হবে বেশি। জ্ঞান বিতরণের মাধ্যম না হয়ে জ্ঞান বিক্রয়ের দোকান হয়ে যাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। নৈতিক কারণে শিক্ষাটাকে যদি গণতান্ত্রিক করতে হয়, তার আর্থিক দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে। শিক্ষার আর্থিক দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নেয়া মানেই শিক্ষাকে জাতীয়করণ করা। শিক্ষকদের বেতন ভাতা, তাদের শিক্ষার জন্য আনুষাঙ্গিক ব্যয় এসব রাষ্ট্র কতৃক নির্বাহ করা। শিক্ষা যে মানব সম্পদ তৈরি করে তার প্রভাব গোটা সমাজে ছড়িয়ে পড়ে। তার ফল গোটা সমাজ পায়।

একটা শিক্ষিত জনগোষ্ঠী মানে উন্নত জনগোষ্ঠী। পৃথিবীর যত উন্নত, আধুনিক, অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল দেশের কথা বলি তারা প্রত্যেকে শিক্ষিত। যে জাতি যত শিক্ষিত, সে জাতি তত উন্নত। আমরা এখনো জ্ঞান বিজ্ঞানে পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে পিছিয়ে আছি। অতি দ্রুত যদি ওদের সঙ্গে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হয়, শিক্ষার মান উন্নত করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। এক্ষেত্রে বিনিয়োগটা কি হতদরিদ্র মানুষরা করবে? নাকি তারা যে রাষ্ট্রে থাকে সে রাষ্ট্রের করা উচিত? আমি মনে করি রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেই শিক্ষকদের বেতন ভাতা নিশ্চিত করা উচিত । যাতে করে আমাদের দেশ একটা উন্নত গণতান্ত্রিক দেশে রুপান্তরিত হয়। মানব সম্পদের উন্নয়ন করতে হবে। যাতে ডেভেলপমেন্টটা স্থায়ী হয়।

জাতীয় সম্পদ শেষ হয়ে যায়, কিন্তু মানব সম্পদ টিকে থাকে। সে কারণে আমরা মনে করি শিক্ষার জাতীয়করণের দাবীতে একটা নৈতিক ভিত্তি আছে। অর্থনৈতিক গুরুত্ব আছে। এর অর্থনৈতিক দায়িত্বটা সরকারের। বিপুল পরিমাণ টাকা জনগণের কাছ থেকে ট্যাক্স হিসেবে আসে। শিক্ষার ক্ষেত্রে, চিকিৎসার ক্ষেত্রে, অবকাঠামো নির্মানের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের প্রধান ভূমিকা থাকা উচিত বলে মনে করি।

তাহলেই এই টাকার পরিপূর্ণ ব্যবহার হবে। দেশের টাকা লুটপাট হয়ে যায়। জনতা ব্যাংকে এক ব্যক্তি পাঁচ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিতে পারেন। তাহলে দেশ কেন শিক্ষার জন্য বিনিয়োগটি করবে না? শিক্ষাকে জাতীয় করণ করা রাষ্ট্রের কর্তব্য।

পরিচিতি: কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য, বাসদ
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ
সম্পাদনা : গাজী খায়রুল আলম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়