শিরোনাম
◈ পারস্পরিক শুল্ক সংকট: চূড়ান্ত দর-কষাকষিতে বাংলাদেশ ◈ আরব আমিরাতের আবুধাবিতে প্রবাসী বাংলাদেশির ভাগ্যবদল: লটারিতে জিতলেন ৮০ কোটি টাকা ◈ ২৪ ঘণ্টায় গাজায় নিহত ১১৮, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পর্যালোচনায় হামাস ◈ ‘মব এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলে কঠোর পদক্ষেপ নেবে সেনাবাহিনী’ ◈ হোটেলে নারীকে মারধর করা বহিষ্কৃত যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তারের চেষ্টায় পুলিশ ◈ বনানীর জাকারিয়া হোটেলে ঢুকে নারীদের ওপর যুবদল নেতার হামলা, ভিডিও ◈ দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ জামায়াতের নিবন্ধন পুনর্বহালের গেজেট প্রকাশ ◈ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ দিবস পালনের নির্দেশ ◈ তিন দিনের ছুটিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, পাবেন না যারা ◈ উচ্চ ও নিম্ন আদালতকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করতে হবে: সালাহউদ্দিন

প্রকাশিত : ৩০ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৮:৫০ সকাল
আপডেট : ৩০ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৮:৫০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার কথা ছিল আই ওয়াশ

ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন : বাংলাদেশে আসা ১০ লাখ রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার সরকার ফেরত নেওয়া শুরু করবে, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের প্রতিদিন ৩০০ জন করে সপ্তাহে দেড় হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিবে, বছরে ১ লাখ করে নিতে পারে মিয়ানমার সরকার। এর আগে মিয়ানমার সরকার এবং বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার জন্য যে সমঝোতা স্বাক্ষর করেছিল, এটি ছিল আই ওয়াশ। এটিতে আন্তর্জাতিক যেসব সংস্থা আছে তারাই বলেছেন, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। কিন্তু এটি সঠিক ভাবে কার্যকর করা হয়নি। আগে যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি করেছিলেন, এ চুক্তিটি আন্তর্জাতিকভাবে হওয়া উচিত ছিল। আমাদের সরকার রোহিঙ্গাদের থাকার ব্যবস্থা করেছেন, সেটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, নোবেল পুরস্কারের আশা। এজন্য রোহিঙ্গাদের একবারে সবাইকে পাঠাতে পারছে না। আমাদের সরকার বলছেন, দিনে ৩০০ করে রোহিঙ্গাদের পাঠাবে। এটি হল একটি মিথ্যা কথা। ১৯৭৮ সালে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের বিভিন্নভাবে অত্যাচার করায় আমাদের দেশে যে রোহিঙ্গা এসেছিলেন, তাদেরকে ১৯৭৮ সালে এবং ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার অনেক সাফল্যের সাথে মিয়ানমারে পাঠাতে পেরেছেন। বর্তমানে যে রোহিঙ্গা আমাদের দেশে এসেছেন এবং আগে যেসব রোহিঙ্গা আছে, সব রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে পারেন, তাহলে আমি মনে করি, বর্তমান সরকার এটি সঠিকভাবে করতে পেরেছেন। যেসব রোহিঙ্গা দেশে ফিরবেন, তাদেরকে আবার পুনরায় মেরে ফেলবে না, এবং তাদের ঘর বাড়ি ফেরত দিবে, তাদের কোন ক্ষতি সাধিত হলে তাদের দায়িত্ব মিয়ানমার সরকার নিবে, এমন শর্তে তাদেরকে পাঠানো যায়। এই রোহিঙ্গার মেরে ফেলার সাথে যারা জড়িত ছিল তাদের সবাইকে ধরে আন্তর্জাতিক ভাবে সাজা দেওয়া হোক। তাহলে একটা অগ্রগতি দেখা যাবে।
পরিচিতি: সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি
মতামত গ্রহণ: রাশিদুল ইসলাম মাহিন
সম্পাদনা: মোহাম্মদ আবদুল অদুদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়