ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ : বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশের রাজনীতি হতে পারে না। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যিনি অভিভাবক থাকবেন তার ব্যক্তিত্বের মধ্য দিয়েই আসলে অনেক কিছু মোকাবিলা করা সম্ভব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে এমন অনেক উপাচার্য এসেছেন যাদের ব্যক্তিত্বই এমন ছিলো যে, তারা ছাত্রদের সামনে দাঁড়ালে ছাত্ররা আর কোনো কথা বলতে পারতো না। আসলে এখন তো আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেখতে পাচ্ছি যে, আমাদের যে অবস্থান থাকার কথা ছিলো সেটা নেই।
শুক্রবারে দিবগত রাতে চ্যানেল আইয়ের আজকের সংবাদপত্র অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম।
তিনি আরো বলেন, এখন আমরা দলের সাথে অনেকটা বেশি সম্পৃক্ত। এমনটা আসলে হওয়া উচিত নয়। একজন উপাচার্যকে উদ্ধার করার জন্য কেন ছাত্রলীগকে ফোন করে আনতে হবে। ছাত্রলীগ তো কারো ব্যক্তিগত বাহিনী নয়। একজন উপাচার্য কেন তিনটা তালা লাগিয়ে বসে থাকবেন। তাকে যদি কেউ ঘেরাও করতে যান তাহলে তিনি সৎ সাহস নিয়ে বেড়িয়ে আসবে। তার সহকর্মিদের ডাকবেন। এবং ছাত্রদেরকে বলবেন তোমরা কি চাও? আমি তোমাদের বিষয়টি দেখবো। এমন একজন লোক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য না হলে আসলে নির্ভরশীলতার কোন জায়গা থাকে না।
নঈম নিজাম আরো বলেন, আমি মনে করি সেই দিন ছাত্রলীগকে ডাকার কোনো প্রয়োজনীয়তা ছিলো না। তিনি চাইলে পুলিশকে ডাকাতে পারতেন। পুলিশ সেটা নিয়ন্ত্রণ করতো।