ইসমাঈল হুসাইন ইমু: স্বাধীন বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ২৭ জন পুলিশ কর্মকর্তা পুলিশ প্রধানের (আইজিপি) দায়িত্ব পালন করেছেন। জাবেদ পাটোয়ারি ২৮ তম আইজিপি নিযুক্ত হলেন। এ পদটি দীর্ঘদিন যুগ্নসচিব পদ মর্যাদার গ্রেড- ২ ) থাকলেও সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিন তারকা পদে উন্নীত করেছেন। আইজিপিরা এখন (গ্রেড-১) সিনিয়র সচিব মর্যাদার কর্মকর্তা।
মুজিব নগর সরকারের সময় এ. খালেক ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল থেকে ১৯৭৩ সালের ২৩ থেকে এপ্রিল, এ. রহিম ১৯৭৩ সালের ২৩ এপ্রিল থেকে ৩১ ডিসেম্বর, এ.এইচ.এম. নুরুল ইসলাম ১৯৭৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭৫ সালের ২১ নভেম্বর, হোসেন আহমেদ ১৯৭৫ সালের ২১ নভেম্বর থেকে ১৯৭৮ সালের ২৬ আগস্ট, এ.বি.এম.জি কিবরিয়া ১৯৭৮ সালের ২৬ আগষ্ট থেকে ১৯৮২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে আইজিপি হিসেবে দাযিত্ব পালন করেছেন।
এছাড়াও এ.এম.আর. খান ১৯৮২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৮৪ সালের ৩১ জানুয়ারি, ই.এ. চৌধুরী ১৯৮৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৮৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর, মোঃ হাবিবুর রহমান ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি, এ. আর. খন্দকার ৯ জানুয়ারি থেকে ১৯৯০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি, তৈয়ব উদ্দিন উদ্দিন আহমেদ ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি, এম এম চৌধুরী ৮ জানুয়ারি থেকে একই বছরের ২০ জুলাই, এম ইনামুল হক ২০ জুলাই থেকে একই বছরের ১৬ অক্টোবর, এ.এস.এম শাহজাহান ১৯৯২ সালের ৮ জুলাই থেকে ১৯৯৬ সালের ২২ এপ্রিল, এম. আজিজুল হক ২২ জুলাই থেকে ১৯৯৭ সালের ১৬ নভেম্বর, মোঃ ইসমাইল হোসেইন ১৯৯৭ সালের ১৬ নভেম্বর থেকে ১৯৯৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর, এ. ওয়াই. বি, সিদ্দিকী ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২০০০ সালের ৭ জুন, মোহাম্মদ নুরুল হুদা ৭ জুন থেকে ২০০১ সালের ৬ নভেম্বর, মোদাব্বির হোসেন চৌধুরী ১৬ নভেম্বর থেকে ২০০৩ সালের ২২ এপ্রিল, শহিদুল হক ২২ এপ্রিল থেকে ২০০৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর, আশরাফুল হুদা ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২০০৫ সালের ৭ এপ্রিল, মোহাম্মদ হাদিস উদ্দিন ৭ এপ্রিল থেকে ২০০৫ সালের ৭ মে, আব্দুল কাইয়ুম ৭ মে থেকে ২০০৬ সালের ৬ জুলাই, আনোয়ারুল ইকবাল ৬ জুলাই থেকে ২০০৬ সালের ২ নভেম্বর, খোদা বক্স চৌধুরী ২ নভেম্বর থেকে ২০০৭ সালের ২৯ জানুয়ারি, নুর মোহাম্মদ ২৯ জানুয়ারি থেকে ২০১০ সালের ৩১ আগষ্ট , হাসান মাহমুদ খন্দকার ৩১ আগষ্ট থেকে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্ববর, এ কে এম শহীদুল হক ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে আইজিপির দায়িত্ব পালন করেন।
এর মধ্যে সর্বোচ্চ চার বছর সময় ধরে আইজিপি ছিলেন হাসান মাহমুদ খন্দকার। মাত্র ১ মাস আইজিপি হিসেবে ছিলেন হাদিস উদ্দিন। বিএনপি সরকার আইজিপি হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয় শহীদুল হককে। তিনি অনেক আগেই অবসরে গিয়েছিলেন। তার ওই নিয়োগ নিয়ে পুলিশে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগে কারাবরণ করতে হয় আইজিপি খোদা বক্স ও আশরাফুল হুদাকে। এ ওয়াই বিআই সিদ্দিকীকে আইজিপি পদ থেকে সরিয়ে সচিব হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে পদায়ন করা হয়।