আসাদুজ্জামান সম্রাট : বাংলাদেশের একুশতম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল বৃহস্পতিবার ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৮ অথবা ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদ ভবনে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংসদ সদস্যরা নির্বাচনের ভোটার।
বুধবার সংসদ ভবনে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। তিনিই নিজেই নির্বাচন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন।
বৈঠক শেষে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন আয়োজনে সংসদ সচিবালয় এবং সংসদের কী ধরনের সহযোগিতা ইসি পেতে পারে, তা আইনে নির্ধারিত আছে। তারপরও সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য এসেছিলাম।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশনের খসড়া তফসিল নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আলোচনা করেছেন। তারা বৃহস্পতিবার কমিশন বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করবে। ইসির চাহিদা অনুযায়ী ভোটার তালিকা সংসদ সরবরাহ করেছে।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন মো. আবদুল হামিদ। স্বাধীনতার পর থেকে ১৯ মেয়াদে এ পর্যন্ত ১৬ জন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই হিসোবে আবদুল হামিদ এই পদে সপ্তদশ ব্যক্তি। বাংলাদেশের আইনে এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্বে থাকতে পারবেন।
সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, মেয়াদ অবসানের কারণে রাষ্ট্রপতি পদ শূন্য হওয়ার ক্ষেত্রে মেয়াদপূর্তির তারিখের আগের ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৩ এপ্রিল। ফলে সংবিধান অনুযায়ী, ভোট হতে হবে ২৪ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। সংসদীয় গণতন্ত্র চালুর পর ১৯৯১ সালে একাধিক প্রার্থী হওয়ায় একবারই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেন সংসদ সদস্যরা। পরে প্রতিবারই ক্ষমতাসীন দল মনোনীত প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে আসছেন।